স্যানেটারি মিস্ত্রি হত্যায় সাতজনের ফাঁসি, পাঁচজনের যাবজ্জীবন
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চম্পকনগর এলাকায় স্যানেটারি মিস্ত্রি রানা হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। মোট ১৬ জন আসামির মধ্যে চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। এ মামলায় মোট ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শিপন, রিপন, আলাউদ্দিন, জুয়েল, শুভ, কাজল ও হাবিব। এদের মধ্যে শিপন, রিপন ও আলাউদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- বাদল, জহিরুল, আনোয়ার, ইকবাল ও সোহেল। এদের মধ্যে বাদল ও ইকবাল পলাতক।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এপিপি রফিকুল ইসলাম জানান, ২০০৬ সালের ১ মে রাতে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া নিয়ে যৌনাঙ্গ ও গলা কেটে হত্যা করা হয় চম্পকনগর এলাকার স্যানিটারি মিস্ত্রি রানাকে। এই ঘটনার পরদিন রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান ছয়জনকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী তদন্তে আরো দশজনকে আসামি করে মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করেন তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ ১৭ বছর মামলার চলমান তদন্তে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য আমলে নিয়ে এ রায় দেন বিজ্ঞ বিচারক। রায়ে বিজ্ঞ বিচারক সাতজনকে মৃত্যুদ-াদেশ ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদ-, পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ ও ত্রিশ হাজার টাকা করে প্রতিজনকে অর্থদ- অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদ- এবং চারজনকে বেকসুর খালাস দেন। রায় প্রদানের সময় মোট নয়জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত রানার বাবা জাহাঙ্গীর খান ১৭ বছর পর ছেলে হত্যার বিচারের রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আসামিদের দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকরের আবেদন জানান।