হত্যার পর মরদেহ ফেলা হয় নদীতে, ২ জনের ফাঁসি

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার হোমনায় আবদুল করিম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর মরদেহ ফেলা হয় নদীতে। সেই মামলায় ১৩বছর পর ২ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। বুধবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। এসময় আদালত দুই আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদ-েরও আদেশ দেয়। দ-প্রাপ্তরা হলেন, কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাগমারা গ্রামে মো. মজনু মিয়া ও কবির মিয়া।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি সেলিম মিয়া জানান, ২০১০ সালের ২৮ জুলাই বিকেলে হোমনার বাগমারা গ্রামের আবদুল করিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। চারদিন পর ২আগস্ট দুপুরে হোমনার বালুর মাঠের পশ্চিমে তিতাস নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হয়। দুই আসামি ১৬৪ ধারায় টাকার লেনদেনের দ্বন্দ্বে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। এ ঘটনায় আদালত তাদের ফাঁসির আদেশ দেয়।