গলায় দড়ি প্যাঁচানোবস্থায় মিললো দোকান কর্মচারীর মরদেহ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের একদিন পর দোকান কর্মচারী সুমন সাহার লাশ মিললো বেড়িবাঁধের নিচে গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায়। তার দুই হাতও ছিলো অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছেন মর্গে।
বুধবার (১৪ জুন) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের তিতাস নদীর বেড়িবাঁধের নিচ থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত সুমন সাহা (৪৫) শহরের কালাশ্রীপাড়া এলাকার অশোক সাহার ছেলে। সে শহরের একটি মুদি মালের দোকানের কর্মচারী ছিলো। তার স্ত্রী এবং দুই মেয়ে রয়েছে।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দোকান কর্মচারী সুমন সাহা মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। বুধবার সকালে স্থানীয়রা তিতাস নদীর বেড়িবাঁধের নীচে তার গলায় দড়ি প্যাঁচানো মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এসময় তার হাত দু’টি অস্বাভাবিকভাবে বাঁকানো ছিলো। পরে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতের পর ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি রহস্যজনক বলে স্থানীয়রা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’