হলুদে বর্ণিল পাহাড়ের ঢালু ও নদীর তীর
অফিস রিপোর্টার।।
পাহাড়পুর। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম । এখানের পাহাড়ের ঢালু ও পাগলি নদীর তীরে এক সময় পড়ে থাকতো পতিত জমি। এবার বোরো মৌসুমের অগ্রভাগে ওইসব জমিতে চাষ হয়েছে সরিষা। দৃষ্টি সীমানায় বসেছে হলুদের উৎসব। বৃহস্পতিবার সেই উৎসব দেখতে আসেন কৃষি কর্মকর্তারা। ভালো ফলন দেখে কৃষকদের সাথে খুশি কর্মকর্তারাও।
পাহাড়পুরের সরিষা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, দৃষ্টি সীমানায় হলুদ আর হলুদ। পাতায় পাতায় ঘুরছে মৌমাছি। সারা মাঠে সরিষার ম-ম গন্ধ। টুইট চিচি শব্দ তুলে উড়ে বেড়াচ্ছে নানা পাখি। কৃষকের কন্ঠে উচ্ছ্বাস।
স্থানীয় কৃষক জয়নাল আবেদিন বলেন, এবার এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। আগামীবার ১০ বিঘা জমিতে সরিষা করার ইচ্ছা আছে।
বুড়িচং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় জানান, পতিত জমির ১১০ বিঘায় এবার সরিষার আবাদ হয়েছে। আমরা গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে সেখানে তিল ও সরিষার চাষ করে সফল হই। এবার স্বল্প জীবনকালীন সরিষা আবাদ করি। আমরা এখানে বিনা-৪, বিনা-৯, বারি-১৪ ও বারি-১৮ জাতের সরিষা লাগাই।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. আশিকুর রহমান বলেন, দুই ফসলের জমিকে চার ফসলের জমিতে রূপান্তর করার টার্গেট আমাদের ছিল। এখানে ৪০ বিঘা জমিতে বিনা উদ্ভাবিত সরিষা চাষ করা হয়েছে। চাষ হওয়া বিনাসরিষা-৪ ও বিনাসরিষা-৯ স্বল্প জীবনকালীন, রোগবালাই সহিষ্ণু। এর ফলন বেশ ভালো।
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ভোজ্যতেল আমদানিতে আমাদের প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। আমরা সে জায়গায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে স্বল্প জীবনকালীন স্বাস্থ্যকর তেল উৎপাদনে জোর দিচ্ছি।