হার্টের রোগীকে সর্দি কাশির চিকিৎসায় মৃত্যু, সংবাদকর্মীর ওপর হামলা

 প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় হার্টের রোগী এক শিশুকে সর্দি কাশির চিকিৎসা দেয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকার হলি কেয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাপার্সনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোরশেদুল আলমের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনায় হাসপাতালে ভিড় জমান সংবাদকর্মীরা। তারা এই সময় হামলাকারীর বিচার দাবি করেন। মারা যাওয়া ওই শিশু কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের বাড়াইপুর গ্রামের মো. সোলেমানের ছেলে মো. হোসাইন।


নিহত শিশুর বাবা সোলেমান বলেন, গত ২৮ অক্টোবর আমার ছেলেকে সর্দি কাশির সমস্যা নিয়ে হলি কেয়ার হাসপাতালে আনি। তখন ডা. আব্দুল কাইয়ুমের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০ নভেম্বর ওই শিশুকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউতে) নেয়া হয়। এর আগে তার হার্টের কোন পরীক্ষা করায়নি চিকিৎসকরা। তারা ১০ নভেম্বর রাতে আমাদের জানালেন শিশুর হার্টের চার ভাগের তিন ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে।
আমাদের যদি চিকিৎসক প্রথম দিনই বলতেন তাহলে আগেই তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতাম, অথবা অন্য কোথাও চিকিৎসার জন্য নিতাম। কিন্তু তারা আমাদের কিছুই জানায় নি। আমরা এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবো।

(সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার)
এবিষয়ে ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন বিপ্লব বলেন, শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পেয়ে আমরা হাসপাতালে যাই। আমার সঙ্গে যমুনা টেলিভিশনের ও সময় টেলিভিশনের সহকর্মীরা ছিল। পরিচালকের বক্তব্য নেয়া শেষে আমরা সাইনবোর্ডের ফুটেজ নেয়ার সময় ডা. মোরশেদুল আলম এসে আমাকে ধাক্কা দেন। আমার হাত মোচড় দিয়ে ক্যামেরা নিয়ে যান। আমি হাসপাতালের পরিচালক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোরশেদুল আলমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।


হাসপাতালের পরিচালকের এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি লুৎফর রহমান।
এবিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক কাইয়ুমকে খুঁজে না পাওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোরশেদুল আলম ক্যামেরা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি সাংবাদিককে নিচে আমার সাথে দেখা করতে বলেছি। তারা কেন দেখা করেনি তাই ক্ষুব্ধ হয়েছি। শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। রোগীর অভিযোগ থাকলে থানায় অভিযোগ করতে বলেন।

(ডা. মোরশেদুল আলম )

এ বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, হলি কেয়ার হাসপাতালের বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।