২০০ মিটার সড়কে আটকা এক উপজেলার মানুষ!

অফিস রিপোর্টার।।
গর্তে গর্তে পানি। পা ফেলতেই পিছলে পড়েন অনেকে। ভুলে এই সড়কে ঢুকে পড়লে চালক যাত্রীদের নিয়ে বাহন ঠেলে উঠাতে হয়। এই সড়কেই প্রতিদিন যাতায়াত করে এক উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সেবা নেয়া বাসিন্দারা। আবার এই সড়কেরই নিয়মিত যাত্রী থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা। এমন সড়ক কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বরুড়া পৌরসভার থানা রোডের। মাত্র ২০০ মিটারের এই সড়ক এখন এক উপজেলার মানুষের চরম ভোগান্তির কারণে হয়ে উঠেছে। তিন মাসে বার বার অনুরোধের পরেও এই সড়কের দিকে যেন নজর নেই কারো।

জানা গেছে, কুমিল্লার পশ্চিম অঞ্চলের বরুড়া উপজেলার মানুষের একমাত্র আইনশৃঙ্খলা সেবা প্রতিষ্ঠান বরুড়া থানা। ২৪২ বর্গ কিলোমিটারের উপজেলার চার লাখ ৭৩ হাজার ৫৯০ জন জনসংখ্যার একমাত্র আইনশৃঙ্খলা সেবার প্রতিষ্ঠান এই থানা। যেকারণে উপজেলার ইউনিয়নের গ্রাম গুলোর সেবা গ্রহীতারা ভিড় জমান প্রতিদিন। কিন্তু উপজেলার জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সেবাগ্রহীতারা আটকে যান থানার সামনে আসলে। বরুড়া পৌরসভার বাজারের পাশেই বরুড়া থানা। থানার সামনের প্রায় ২০০ মিটারের একটি সড়ক বরুড়া বাজারের সঙ্গে থানাকে যুক্ত করেছে। বরুড়ার পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ সব দিকের বাসিন্দারা সেবা নিতে বাজার হয়ে থানায় প্রবেশ করতে হয়। এছাড়াও বরুড়া থানার পুলিশ সদস্যদের ব্যবহারের যানবাহনও একই সড়কে কর্তব্য পালন করতে বের হন। কিন্তু এই সড়কের খানা-খন্দকের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন থানার পুলিশ সদস্যরাসহ সেবা গ্রহীতারা।
বরুড়া থানা পুলিশের একটি সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই উপজেলা প্রকৌশল অফিসকে বলে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না কেউ। থানার কর্মকর্তারা একাধিকবার বলার পরেও কারও নজরে আসছে না বিষয়টি। ২০০ মিটার সড়ক পার হতে মাঝে মধ্যে পুলিশ সদস্যদেরই গাড়ি ঠেলে থানায় নিতে হয়।

উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়ন থেকে সেবা নিতে আসা আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা মাসে বছরে একদিন আসতে হয়। রস্তার খুবই খারাপ অবস্থা। এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা এলাকার সড়ক। এটার সংস্কার খুবই দরকার।

বরুড়ার পৌরসভা মেয়র বকতার হোসেন বখতিয়ার বলেন, সড়কটি প্রকৌশল বিভাগের। এই সড়কটির কাজ স্থগিত আছে। শুনেছি মন্ত্রণালয় থেকে কাজ শেষ হয়েছে। শিগগিরই আবার কাজ শুরু হবে। এই বিষয়ে প্রকৌশল বিভাগ বলতে পারবে।

এই বিষয়ে বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই সড়কের টেন্ডার করা আছে। কাজও চলমান। থানার সামনে দিয়ে কিছু অংশের কাজ করতে গিয়ে আইটেম পরিবর্তন করা লাগছে। সম্প্রতি এটার অনুমোদন হয়ে গেছে। কাজ আবার শুরু হবে। ঠিকাদারকে চাপে রেখেছি যেন দুই দিনের মধ্যে শুরু করে। আমাদের সাথে থানার পক্ষ থেকে অনেকবার যোগাযোগ করেছে। আমরাও করছি। আশাবাদী শিগগিরই কাজ শেষ করা হবে।