লালমাই পাহাড়ে প্রথমবার বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষ
মহিউদ্দিন মোল্লা ।।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ ও বরুড়ার উপজেলার সীমান্তে লালমাই পাহাড়ের চন্ডিমুড়া এলাকা। চন্ডিমুড়া পাহাড়ের মাথায় রয়েছে সনাতন ধর্মাম্বলম্বীদের তীর্থ স্থান। তীর্থ স্থানের পূর্ব পাশ ঘেঁষে পাহাড়ে একটি ইট বিছানো সড়ক প্রবেশ করেছে। সামনে গেলে চোখে পড়ে ছোট বড় পাহাড় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ হয়েছে। হানিকুইন জাতের আনারসে হাসছে পাহাড়ের সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় ধর্মপুর এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা। পাহাড়ের ঢালু ও মাঝের সমতল ভূমিতে আনারসের চারা বেড়ে উঠছে। স্থানীয় কৃষকদের গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন এই এখানে দুই হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ করেছে। বৃহৎ পরিসরে পাহাড়ে আনারস চাষ দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, এখানের পাহাড়ে একসাথে এতো জমিতে আর আনারস চাষ হতে দেখিনি। ভালো ফলন হলে স্থানীয়রাও সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয় করতে পারবে বলে আশা করছি।
স্থানীয় গ্রাম উন্নয়ন সংগঠনের সদস্য আলী নেয়াজ বলেন,আমরা এলাকার ৫০ কৃষক মিলে এই আনারসের চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে আমাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বলেন, এখানে হানিকুইন জাতের আনারসের ১০হাজার চারা লাগানো হয়েছে। ১৫মাস পরে এই বাগানে ফল আসবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার জোনায়েদ কবির খান বলেন, লালমাই পাহাড়ের প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ হয়েছে। আমরা উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি এখানে ভালো ফলন হবে। তাদের সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হবেন। লালমাই পাহাড়ের আনারস সম্প্রসারণের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।