‘২০৪১ সালের বাংলাদেশে এই জরাজীর্ণ টাউন হল চলতে পারে না’

 

মাহফুজ নান্টু, আবদুর রহমান ।।

কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন (টাউন হল) নিয়ে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, এই টাউন হলের বর্তমান ভবনটি ১৯৩৩ সালে নির্মিত হয়েছে। আগামীর ২০৪১ সালের বাংলাদেশে এই জরাজীর্ণ টাউন হল চলতে পারে না। আমি আধুনিক টাউন হল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু কুমিল্লার কুচক্রী মহল এটার বিরোধিতা শুরু করেছে। তারা দেশের ৫০ জন বুদ্ধিজীবীকে ভুল বুঝিয়ে তাদের দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এখন এটা নিয়ে কমিটি হয়েছে। ওই কমিটি রিপোর্ট দিবে এটা পুরাকীর্তিতে যাবে কি না। এখানে গণশুনানি হবে। আমি বলছি কুমিল্লা টাউন হল পুরাকীর্তিতে যাবার কোন সুযোগ নেই। আর কোন বুদ্ধিজীবী নয়, আধুনিক টাউন হল হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নিবে কুমিল্লার জনগণ। এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের অনেকে আমাকে পছন্দ করেন না,আমিও অনেককে পছন্দ করিনা। তবে কুমিল্লা বিভাগ ও টাউন হলের বিষয়ে সবার সহযোগিতা চাই।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণ পাঠাগার ও নগর মিলনায়তনে (টাউন হল অডিটোরিয়াম) কুমিল্লার উন্নয়ন ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রথম দফায় ১ঘন্টা ১০মিনিট বক্তব্য ও প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিগত সময়ে কুমিল্লার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। এছাড়া পরিবহন সেক্টরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি করেন। মতবিনিময়ের চিঠি দেয়া হলেও ব্যানার করা হয় সংবাদ সম্মেলনের। লিখিত কোন পত্র দেয়া হয়নি। এমপি বাহার অবশ্য বলেছেন, মতবিনিময় হওয়ায় লিখিত দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন,এক সময় কুমিল্লা কান্দিরপাড়ে মুচিদের নিকট থেকে চাঁদা নিতো। জলযোগ মিষ্টির দোকান থেকে বাবর নামের একজন প্রত্যেক দিন এক কেজি করে মিষ্টি নিতো। আমি সেগুলো বন্ধ করেছি।
নির্বাচিত হওয়ার পরিবহন ব্যবসায়ীরা এসে বললেন,বাহার ভাই আপনাকে কত দিতে হবে। আমি বলেছি কেন আমাকে দিতে হবে। আমাকে দেয়া লাগবে না। আমি রাজনীতি করি। প্রয়োজনে জনসভায় বাস দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
কুমিল্লা বিভাগ নিয়ে এমপি বাহার বলেন, আমি দীর্ঘদিন কুমিল্লার মানুষকে নিয়ে বিভাগের জন্য আন্দোলন করছি। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা কুমিল্লায় এসেও ঘোষণা করেছেন কুমিল্লা বিভাগ হবে। কুমিল্লায় বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য কুমিল্লা অঞ্চলের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।