৬৮তম বছরে পদার্পণ আমোদ

৫ মে সাপ্তাহিক আমোদ গৌরবের ৬৮তম বছরে পদার্পণ করেছে। কুমিল্লার মত একটি মফস্বল শহর থেকে একটি সংবাদপত্র নীতি এবং আদর্শকে অক্ষুন্ন রেখে ৬৭ বছর অতিক্রম করে ৬৮তম বছরে পা রাখার পথ মোটেও সহজ ছিল না। ছিল অনেক বন্ধুর পথ। এই বন্ধুর পথকে অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র এর প্রতিষ্ঠাতা, কিংবদন্তী সাংবাদিক, সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর নীতি এবং সুমহান আদর্শকে তাঁর উত্তর প্রজন্ম ধরে রেখেছে বলেই। তাই এই সময়ে প্রথমেই প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমরা শ্রদ্ধা জানাই আমোদ উপদেষ্টা সম্পাদক শামসুননাহার রাব্বীর স্মৃতির প্রতি।

আমোদ প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী

তিনিও আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন মহাকালের পথে। মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী আমোদ প্রতিষ্ঠা করে শুধু কুমিল্লাবাসীকে সম্মানিত করেছেন তা নয়, বরং আমোদ-এর মাধ্যমে গোটা বাংলাদেশকেই বিশ্বের মফস্বল সংবাদপত্রের জগতে একটা অহংকারের জায়গা করে দিয়ে গেছেন। ১৯৮৫ সালে যার স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কোর মত প্রতিষ্ঠান। তার থেকে বড় স্বীকৃতি পাঠকরা একটি পত্রিকা টানা ৬৭ বছর পড়ে আসছেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস তারা এটি আরো যুগের পর যুগ পড়ে যাবেন।


মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী কুমিল্লার খেলার মাঠে বসে যে সাদা কালো আমোদ’কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে আমোদ আজ সময়ের দাবিকে গ্রহণ করে অফসেট কাগজে রঙিন হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে পাঠকের দরবারে হাজির হচ্ছে। অতি নগণ্য কিছু ব্যতিক্রম বাদে গত ৬৭ বছর ধরেই আমোদ প্রতি বৃহস্পতিবার নিয়মিত ভাবেই প্রকাশিত হয়ে আসছে। আমোদ-এর অঙ্গীকারের কারণেই বৃহত্তর কুমিল্লার পাঠকদের অনেকেই বৃহস্পতিবারকে আমোদ-এর ‘বার’ হিসেবেই মনে করেন। কারণ, সকালে যখন আমোদ হাতে আসে তখনি তাঁরা বলে আজ বৃহস্পতিবার।

এই একটি বিষয়ই প্রমাণ করে কতটা পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্বশীলতার সাথে মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী আমোদ প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন, যা তাঁর মৃত্যুর ২৮ বছর পরেও তাঁর উত্তরসুরীরা একই সময়কে ধারণ করে আসছে। সম্মানিত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, অতীতের ন্যায় আগামী দিনেও আমোদ যেন আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা পায়। আমাদের পূঁজি প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর আদর্শ এবং সততা। এই আদর্শ এবং সততাকে অবলম্বন করে আগামী দিনেও আমোদ’কে আরো এগিয়ে নিয়ে যাব আমরা। ৬৮বছর পদার্পণের সুন্দর সময়ে এই আমাদের দৃপ্ত শপথ।