১৫৩৮ কোটি টাকার প্রকল্প; প্রাণ ফিরে পাবে কুমিল্লা নগরী
আবু সুফিয়ান রাসেল।।
# হাতিরঝিলের আদল পাবে মরা গোমতী
#প্রাণের সঞ্চয় হবে চকবাজার ও শাসনগাছা বাস টার্মিনালে
#যানজট, জলাবদ্ধাতা নিরসনে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) অবকাঠামো উন্নয়নে এক হাজার ৫৩৮ কোটি টাকার প্রকল্প পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পের অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সূত্রমতে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন এ প্রকল্পে ২১ হাজার ৩৬০ বর্গমিটার আধুনিক নগর ভবন, ১০ হাজার ৩৪৯ বর্গমিটার সেবক কলোনি নির্মাণ, এক হাজার ৭০ বর্গমিটার আঞ্চলিক অফিস বর্ধিতকরণ, ২২নং ওয়ার্ডের মোস্তফাপুরে ৪০ হাজার ৪৭৪ বর্গমিটার ট্রাক টার্মিনাল স্থাপন, আট হাজার ১৯৫ বর্গমিটার চকবাজার বাস টার্মিনাল উন্নয়ন, ১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ৮০ হাজার ৯৫৭ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, পুরাতন গোমতী নদীসহ ডিসি পুকুর ও রাজবাড়ি পুকুরের সৌন্দর্যবর্ধন। পুরাতন গোমতী নদীকে ঘিরে হাতিঝিলের আদলে সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে। ১৪৬টি কবরস্থান উন্নয়ন, সাতটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ৩০৫ দশমিক ১৪ কিলোমিটার রাস্তা, ২০৩ দশমিক ০৯ কিলোমিটার ড্রেন এবং ১৩ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণসহ কিছু যানবাহন ক্রয় করা হবে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, কাজ বাস্তবায়নের পূর্বে শুধু জনপ্রতিনিধি আর কর্মকর্তা নয়, ওয়ার্ডের বাসিন্দা-নগরবাসীর সাথে বসা প্রয়োজন। আমরা যদি উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে যেতে চাই আমাদের প্রয়োজন টেকসই উন্নয়ন। কুমিল্লা এখন জলাবদ্ধতা, যানজটের নগরী। আধুনিক নগরায়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।
কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল বলেন, নতুন করে আর পরিকল্পনা নেওয়ার পূর্বে গৃহিত পরিকল্পনা যদি ঠিক মতো বাস্তবায়ন হয়। নগরবাসী এর সুফল ভোগ করবেন। ইতোমধ্যে নগর উদ্যান ও ধর্মসাগর দিঘি প্রাণ ফিরেছে। কুমিল্লার প্রতিটি পুকুর যেন বেঁচে থাকে। নগরীর সড়কে সড়কে সবুজ থাকবে এ প্রত্যাশা করি।
কুসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, আধুনিক, উন্নত, বাসযোগ্য নগরীর জন্য একটি সুপরিকল্পিত বাজেট পেয়েছি। যা বাস্তবায়নের কারণে স্বপ্নের নগরীতে অমূল পরিবর্তন দেখা যাবে। যার নেপথ্যে নিরলস শ্রম দিচ্ছেন সিটি মেয়র, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাগণ।
কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, উন্নয়ন কাজ একটি চলমান প্রক্রিয়া। গত এক দশকে এটি আমার জন্য বড় বাজেট। এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, সদর আসনের সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।