দাউদকান্দিতে স্কুল সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ

 

inside post

অফিস রিপোর্টার

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার চরগোয়ালী খন্দকার নাজির আহমেদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণবসহ কয়েকজন মিলে সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।

স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এফ এম মুশফিকুর রহমান দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেন। দাউদকান্দি থানায়ও জিডি করেছেন সভাপতি।

বিজ্ঞাপন

সূত্রমতে,এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি বেতন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে উত্তোলন হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারী স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছেন। এর আগে প্রধান শিক্ষক দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব স্কুল কমিটির অনুমোদন ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। প্রমাণিত হওয়ার পর সেই টাকা ফেরতও দিয়েছিলেন।

সভাপতি এফ এম মুশফিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দিন বেতন ভাতা উত্তোলনের বিষয়ে আমার কোন স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। জনতা ব্যাংক দাউদকান্দি বাজার শাখায় যোগাযোগ করে জানতে পারি আমার স্বাক্ষরে প্রতিষ্ঠানের সরকারি বেতন উত্তোলন হচ্ছে। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ সবাইকে অবহিত করি। এর আগেও তিনি এলাকার প্রভাবশালী একটি মহলকে সাথে নিয়ে ৬০লাখ টাকা আত্মসাত করেন। এমপিও ভুক্তির নামে শিক্ষকদের কাছে থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী মাহফুজুর রহমানকে সাথে নিয়ে প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দেবেন্দ্র চন্দ্র বৈষ্ণব বলেন,এসব বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কোন অনিয়মের সাথে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমরা স্বাক্ষর জালিয়াতির একটা অভিযোগ পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও কিছু অভিযোগ ছিলো। বিষয়টি তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন