কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা
প্রতিনিধি।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। বেসরকারিভাবে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিজয়ী সদস্যরা হলেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড (মেঘনা তিতাস ও দাউদকান্দি) জেবুন্নেচ্ছা জীবন দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৮৭ ভোট। ২ নং ওয়ার্ড (হোমনা ও মুরাদনগর) দোয়াত কলম প্রতীকে মোসা. মমতাজ বেগম পেয়েছেন ২৫৬ ভোট। ৩নং ওয়ার্ড (দেবিদ্বার, চান্দিনা, বরুড়া) ফুটবল প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন শিরিন সুলতানা। তিনি পেয়েছেন ২৩৮ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ড ( সদর-বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) দোয়াত কলম প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন অ্যাড.ফাহমিদা জেবিন। তিনি পেয়েছেন ১৮৫ ভোট। ৬ নং ওয়ার্ড (নাঙ্গলকোট-সদর দক্ষিণ- চৌদ্দগ্রাম) টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোসাঃ নাসরিন আক্তার। তিনি পেয়েছেন ৩০৫ ভোট।
সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন ১নং ওয়ার্ড মেঘনা থেকে মোঃ কাইয়ুম হোসেন ৪১ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ড তিতাস থেকে তালা প্রতীকে ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন পলাশ। ৪ নম্বর হোমনা থেকে হাতি প্রতীকে ৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোঃ মকবুল হোসেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ড মুরাদনগর থেকে বৈদ্যুতিক পাখায় ২৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী মনিরুল ইসলাম। ৬ নং দেবিদ্বার থেকে হাতি প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন বাবুল হোসেন। তিনি পেয়েছেন ১৪০ ভোট। ৭ নং ওয়ার্ড চান্দিনা থেকে হাতি প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন মোঃ বজলুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৮৯ ভোট। ৮ নম্বর বরুড়া ওয়ার্ড মোঃ জসিম উদ্দিন হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ১১৫ ভোট। ১০ নং ওয়ার্ড বুড়িচং টিউবওয়েল প্রতীকে ৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মশিউর খান। ১১ নম্বর ওয়ার্ড ব্রাহ্মণপাড়া থেকে বিজয়ী হাতি প্রতীকের সাইফুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৪৭ ভোট। ১৪ নং ওয়ার্ড লালমাই থেকে তালা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন মোঃ আমির হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৪৭ ভোট। ১৫ নং ওয়ার্ড নাঙ্গলকোট থেকে আবু বকর সিদ্দিকী ঢোল প্রতীকে ১৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ১৭ নং ওয়ার্ড চৌদ্দগ্রাম থেকে টিউবওয়েল প্রতীকে এমরানুল হক কামাল ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
উল্লেখ্য- জেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লায় চেয়ারম্যান ও ৬জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে এবং ৬টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ১২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৭ জন এবং পাঁচটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মোট ভোটার ২৬৭৯ জন।