বড় বোনকে না পেয়ে শিশু শিমুকে ধর্ষণের পর হত্যা, দুইজনের ফাঁসি
মাহফুজ নান্টু।
বড় বোনকে না পেয়ে শিশু শিমুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুই দুর্বৃত্ত। শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৫০) ও আমির হামজা (৩৫)। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ নম্বর আদালতের বিচারক আবদুলাহ আল মামুন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের ১ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ হাতিমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘরে একা শিশু শিমু আক্তারকে (১০) পেয়ে ধর্ষণ করে দণ্ডপ্রাপ্তরা। শিমু যখন এ ঘটনা তার বাবাকে জানাবে বলে তখন দণ্ডপ্রাপ্তরা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত শিশু শিমুর বাবা দিনমজুর সাইদুল হক বাদী হয়ে আমির হামজা ও বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক জামির উদ্দিন জিয়া জানান, আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে বলেন, তাদের টার্গেট ছিলো দিন মজুর সাইদুল হকের বড় মেয়ে শারমিন আক্তারকে ধর্ষণ করবে। ঘটনার দিন শারমিন স্কুলে থাকায় তার ছোট বোন শিমু আক্তারকে ধর্ষণ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে ফেলে রাখে।
রায়ে খুশি বাবা সাইদুল হক বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আমার মেয়ের খুনিদের বিচার পেয়েছি। এখন রায় কার্যকর হলে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।
কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।