৯ম গ্রেডে পদোন্নতি চান ১৫ হাজার কৃষি কর্মকর্তা
প্রতিনিধি।।
৯ম গ্রেডে পদোন্নতি চান কুমিল্লাসহ দেশের ১৫ হাজার কৃষি কর্মকর্তা। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, একই গ্রেডে প্রহসনের প্রমোশন দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এনিয়ে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পদ সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। প্রতিটি ইউনিয়নে ৩জন করে কর্মকর্তার পদ রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর থেকে তাদের পদ মর্যাদা ২য় শ্রেণির ১০ম গ্রেডে উন্নীত করেন। বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা এবং প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদনের পরও কৃষি মন্ত্রণালয় তাদের পদমর্যাদা ও বেতন উন্নীত করনের গেজেট প্রকাশ করেনি। এর মধ্যে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের গ্রেডেশন নম্বর ৬৮৪৮ থেকে ৯৬৩৭ পর্যন্ত ২৭৯০ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তাদের চাকরি তথ্য চাওয়া হয়। যারা ইতোমধ্যে তাদের চাকরির প্রায় ৩৫/৩৬ বছর অতিবাহিত করেছেন। এই ২৭৯০জন কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র ৪০০ জন পদোন্নতি নিতে তাদের তথ্য প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৮ মে পর্যন্ত ৫ দফায় প্রায় ৪০০ জনকে তাদের নিজ বেতনে, চলতি দায়িত্বে এবং একই গ্রেডে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার পদে পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, নিজ বেতনে একই গ্রেডে চলতি দায়িত্বে পদোন্নতির এই ঘটনা দেশের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা।
এদিকে পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের একজন আবুল কালাম আজাদ জানান, নিয়মের বাইরে তাদেরকে নিজ জেলা ও অঞ্চলের বাইরে পদায়ন করা হয়েছে। যা অধিদপ্তরের ইতিহাসে নজিরবিহীন। পদোন্নতিজনিত কারণে তার বেতন-ভাতা কমে গেছে। ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা ৬ মাসের অতিরিক্ত চলতি দায়িত্বে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু ইতোমধ্যে তাদের অনেকের ৯-১০ মাস অতিবাহিত হয়েছে। আবার অনেকেই চলতি দায়িত্ব নিয়েই অবসরে চলে গেছেন ও মারা গেছেন।
কুমিল্লা জেলার সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, একই গ্রেডে নিজ বেতনে পদোন্নতির আদেশটি সাংঘর্ষিক ও স্ববিরোধী। সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাগণ ৯ম গ্রেডেই পদোন্নতি পাওয়ার কথা।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি বিএম শোয়েব আহমেদ বলেন, একই গ্রেডে নিজ বেতনে পদোন্নতি কোন চাকরি বিধিমালায় নেই। সংকট সমাধানে কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।