কুবিতে নতুন দিনের প্রত্যাশা
অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়(কুবি)। ২০০৬-০৭ শিক্ষবর্ষে যাত্রা শুরু করে। নগরীর দক্ষিণ পশ্চিম কোন সালমানপুরে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যাত্রার পর নানা নেতিবাচক সংবাদে এটি আলোচনায় থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়টি জেগে উঠুক,নতুন দিন আসুক তেমন প্রত্যাশা স্থানীয় নাগরিকদের।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে ৭৩৬ধাপ এগিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ব গবেষণা র্যাংকিংয়ে আগের বছর ৬জন শিক্ষক ছিলেন। এবার তা ৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় ফেলোশিপে গতবার ছিলো ১৯জন শিক্ষার্থী, এবার তা দাঁড়িয়েছে ৪১জনে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ১০ বছরে এই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ৮০০-১০০০প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলে আসবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বাড়াতে ফুল ও উদ্ভিদ দিয়ে সাজানো হয়েছে। ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন রাখতে তিন ধরনের বিন স্থাপনসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাথে শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টিতে যাচ্ছেন ভিসি ও ট্রেজারারসহ অন্যান্যরা। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করছেন। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের কথা বলছেন। শ্রেণিকক্ষে ভিসিকে পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরাও।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লাবাসী দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফসল। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আরো এগিয়ে যেতে পারে। শিক্ষার মান উন্নয়নে কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। এটির সম্ভাবনা ও সংকট নিয়ে প্রতি বছর গণমাধ্যম কর্মী ও সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় করা যেতে পারে। এতে সমস্যা গুলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও মন্ত্রণালয়ের নজরে আসবে।
সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ বলেন, রাজনীতি নিয়ে শিক্ষক ও ছাত্রদের দায়িত্বশীল আচরণ প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করতে পারে। গুণগত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, অবকাঠামোর সাথে শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে উচ্চ মান সম্পন্ন শিক্ষা,গবেষণা ও কমিউনিটি এনগেজমেন্টের দিকে নজর দিয়েছি। এর সাথে শৃংখলা,জবাবদিহিতা ও দুর্নীতিমুক্ত কাজের পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি। সবার সহযোগিতা নিয়ে এই প্রতিষ্ঠনে একটি সুন্দর সংস্কৃতি চালু করতে চাই।