৩০০মিটার রাস্তায় হাসবে লালমাই পাহাড়ের শত একর জমি
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
কুমিল্লার লালমাই পাহাড়। এখানে ৩০০মিটার রাস্তা নির্মাণ হলে ফল ফসলে ভরে উঠবে পাহাড়ের শত একর জমি। হাসি ফুটবে শতাধিক কৃষকের মুখে। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি রুপবান মুড়ার পাশে এই পাহাড়ের অবস্থান।
স্থানীয় সূত্রমতে,এখানে পাহাড়ে ও ঢালুতে হাসছে মাল্টা,কলা,পেপে, লেবু ,কাজু বাদাম, কফিসহ নানা ফল ফসল। তবে এসব ফসল তুলে বাজারে নেয়ার রাস্তা নেই। এই ফসলের মাঠের পূর্বে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বার্ড,পশ্চিমে একটি প্রতিষ্ঠান,উত্তরে প্রতœতত্ত্ব অধিপ্তরের রূপবান মুড়া। দক্ষিণে ফসলের জমি,পাহাড় ও বাড়ির মধ্য দিয়ে একটি পায়ে হাঁটা পথ আছে। তবে এই পথে ফসল মাথায় ও কাধে নিয়ে কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, কৃষক আবুল কালাম আজাদ তার জমির লেবু তুলেছেন। সেই লেবু বার্ডের সীমানা প্রাচীরের নিচ দিয়ে আরেক পাশে ফেলছেন। সেখান থেকে আরেকজন তা বস্তায় নিচ্ছেন। এছাড়া কলা কেটে তার সহযোগীরা কাধে নিয়ে হাঁটছেন। রূপবান মুড়ার গেইট বন্ধ থাকায় তারা থমকে গেছেন। পরে প্রাচীরের ওপর দিয়ে কলা পার করেন।
কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন,রাস্তা না থাকায় শ্রমিক খরচ বেশি লাগে। পরিশ্রমের কাজ বলে শ্রমিকরাও আসতে চায় না। রূপবান মুড়ার গেইটও সব সময় খোলা থাকে না। এতে আমাদের ফসল বাজারে নিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। রূপবান মুড়ার পাশ দিয়ে ৩০০মিটারের মতো একটি চলাচলের জায়গা পেলে আমরা সহজে কৃষিপণ্য নিতে পারবো। কৃষক মোহর আলী বলেন,এখানে দুই শতাধিক কৃষক রয়েছেন। পারাপারে আমাদের খরচ বেশি লেগে যায়। এতে আমাদের লাভ কম হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান ও উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন,আমরা লালমাই পাহাড়ের এই অংশের জমি গুলো পরিদর্শন করেছি। এখানে অনেক ফল-ফসল উৎপাদন হয়। চলাচলের রাস্তা পেলে এই পাহাড়ে আরো উৎপাদন বাড়বে।
সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষির উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরাও কৃষকদের রাস্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।