হাতে অস্ত্র- মাথায় হেলমেট,ছড়িয়ে পড়েছে ছবি ভিডিও

 

inside post

চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় অন্তত ১০-১২জন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। দুই গ্রুপে সংঘর্ষ চলাকালে রিভলভার, পিস্তল, পাইপগান ও কাটা রাইফেল ব্যবহার করেছে অস্ত্রধারীরা। তাদের প্রায় সবার মাথায় ছিলো হেলমেট। যদিও রাম দা ও অন্যান্য দেশিয় অস্ত্র ব্যবহার করেছেন শতাধিক ব্যক্তি। গত মঙ্গলবারের এ অস্ত্রের মহড়া ও গুলির ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেনি। গ্রেফতার হয়নি কোন অস্ত্রধারী।
ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, বাজারের ফুটওভার ব্রিজের নিচে হেলমেট পরা দুই যুবক অস্ত্র হাতে গুলি চালাচ্ছেন। অপর একটি ছবিতে দেখা যায় অস্ত্র হাতে গেঞ্জি পরা যুবক রাইফেল হাতে বাজারের ভেতর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তার কাধে একটি ব্যাগ ছিল। অপর দিকে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের লাইভ সম্প্রচার চলাকালে এক যুবককে অস্ত্রে গুলি লুট করতে দেখা যায়। সংঘর্ষ চলাকালে একাধিক ব্যক্তি গুলি চালিয়েছেন। কেউ কেউ অস্ত্র হাতে রাস্তায় রাস্তায় মহড়া দিয়েছেন। তাদের কয়েকজন স্থানীয় যুবক। অন্যরা ফেনী ও কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দা বলে জানা যায়।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেছেন, সংঘর্ষ চলাকালে যুবলীগ কর্মী সোহেল , ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ, রাজৌ, মাসুদ ও প্রভাতের হাতে অস্ত্র ছিল। এর মধ্যে সোহেল হেলমেট পরে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে। ভিডিওতে তাকে দেখা দেখা। এ সময় তার সাথে আরও একজন গুলি চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ করেও এখন নিরীহ। স্থানীয় এমপি আমাদের প্রতিপক্ষ। তাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আমার লোকজনের উপর গুলি চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে।
এমপি মুজিবুল হকের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ বাবুল বলেন, আমাদের কোন নেতাকর্মী গুলি চালায়নি, এসব কাজ আমাদের প্রতিপক্ষ মিজানের লোকজন করতে পারে। কারা অস্ত্র নিয়ে গুলি চালিয়েছে তা পুলিশ ও গোয়েন্দারা ইচ্ছে করলে শনাক্ত করতে পারবে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, যারা সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্র ব্যবহার করেছেন তাদের পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে তো কারও নাম প্রকাশ কিংবা আটক করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের নিকট ভিডিও ও কিছু ছবি আসছে। অস্ত্রধারীদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে মুখোমুখি হন এমপি মুজিবুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকরা। এ সময় দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রুপ নেয় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা,ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও আশেপাশের এলাকা। এ সময় কয়েকটি গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। চলে ভাংচুর,গাড়িতে অগ্নিসংযোগ। সংঘর্ষে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাড়ে ৩ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

আরো পড়ুন