মোবাইল ফোন মেরামতের টাকা দিতে না পারায় ধর্ষণ,অংশ নেয় প্রত্যক্ষদর্শীরাও!
প্রতিনিধি।।
বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন মেরামত করতে দোকানে যায় কুমিল্লার বরুড়ার এক তরুণী। খরচ আসে ২৫০ টাকা। তরুণীর কাছে ছিল ১৫০ টাকা। বাকি ১০০ টাকার জন্য ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে দোকান মালিক শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ (৩৮)। এ ঘটনা দেখে ওই তরুণীকে আবারও ধর্ষণ করে আরও দুই যুবক।
রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। গ্রেফতার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন উপজেলার একবাড়িয়া তালুকদার বাড়ির আব্দুল করিমের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ (৩৮), মো. মোস্তফা কামালের ছেলে মেহেরাজ হোসেন রবিউল (২২) ও এমরান তালুকদারের ছেলে বোরহান উদ্দিন রাজু (২০)।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় বরুড়ার মান্দারতলি এলাকার এক তরুণী একবাড়িয়া পূর্ব বাজারে মোবাইল ফোন মেরামত করার জন্য শহিদের দোকানে যায়। সেখানে মেরামত বাবদ ২৫০ টাকা চাইলে তরুণী ১৫০ টাকা আছে বলে জানায়। বাকি টাকা নেই বললে দোকানি শহিদুল ইসলাম শহিদ (৩৮) ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর তরুণী বাড়িতে যাওয়ার পথে মেহেরাজ হোসেন রবিউল ও বোরহান উদ্দিন রাজু সবাইকে বলে দেবে হুমকি দেয়। তারা স্থানীয় একটি কবরস্থানের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে। তার মা থানায় অভিযোগ করে।