ভিক্টোরিয়ার ২৯ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একজন ডাক্তার

#চারটি আবাসিক হলের জন্য নেই অ্যাম্বুলেন্স
#স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামেও ঘাটতি
আবু সুফিয়ান রাসেল।।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থী এ কলেজে অধ্যয়ন করেন। ২৯ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আছেন একজন ডাক্তার। তিনিও সপ্তাহে মাত্র একদিন দু’ঘণ্টা প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদের দাবি স্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্রসহ, কলেজের পক্ষ থেকে প্রতি কর্মদিবসের জন্য চিকিৎসক নিয়োগ হলে ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হবে।
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মাকছুদুর রহমান বলেন, সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী প্রতিবছর ২৫ টাকা করে কলেজ ফান্ডে জমা দেয়। কলেজের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে আমরা যে সেবা পাই তা পর্যাপ্ত নয়। এখানে যারা লেখাপড়া করে অধিকাংশ দরিদ্র পরিবারের সদস্য। যাদের পক্ষে ৫০০ টাকা ফি দিয়ে ডাক্তার দেখানো সম্ভব না।
যেহেতু কলেজের ফান্ডে চিকিৎসা বাবদ খরচ করার সুযোগ আছে। আমরা চাই, কলেজে কতৃপক্ষ স্থায়ী ডাক্তার নিয়োগ দিবেন। প্রতিদিন আমরা যেনো সেবা গ্রহণ করতে পারি।
নবাব ফয়জুন্নেসা হলের ছাত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, কিছুদিন আগে হলের একজন আপু রাত দু’টায় অসুস্থ হয়েছেন। আমরা রাতে কল দিয়ে ম্যাডামদের জানিয়েছি। তবে তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। কাছাকাছি কোন গাড়িও ছিলো না। যদি কলেজে একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকে চারটি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হতো । কলেজ চলাকালীন কোন সমস্যা হলে তা ব্যবহার করা যেতো।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ চিকিৎসা কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. আফরিন সুলতানা বলেন, সিভিল সার্জন স্যার আমাকে প্রতি মঙ্গলবার এ কলেজে প্রাথমিক সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে স্বাস্থ্যসেবা কক্ষে আরো কিছু স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক জিনিস প্রয়োজন। তাহলে ভালোভাবে কাজ করা যাবে। বিশেষ করে স্যানিটারি ন্যাপকিন।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় স্যানিটি ন্যাপকিনসহ আরো আত্যাব্যশ্যকীয় কিছু জিনিস যোগ করা হবে। স্বাস্থ্যসেবা কক্ষের মান আরো উন্নত করা হবে। তাছাড়া বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার কথা চিন্তা করে সপ্তাহে এক দিন স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার পরিবর্তে আরো কিছুদিন বাড়ানো হবে কি না এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান- এ নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।

inside post
আরো পড়ুন