লালমাইয়ে বিএনপির সভায় গুলি-লুট-ভাঙচুর
তৈয়বুর রহমান সোহেল ।।
কুমিল্লাঃ কুমিল্লার লালমাইয়ের বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে বিএনপির প্রতিনিধি সভায় হামলা, ভাঙচুর, বাড়িঘর লুটপাট ও গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ৫০ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি তাদের। শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মফিজুল ইসলামের উন্দানিয়া গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী জানান, বেলঘর উত্তরে আমাদের একটি প্রতিনিধি সভা ছিল। বিকেল ৪টার দিকে আমার সেখানে যাবার কথা। এর আগেই শুনি দুপুর ২টা থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন সেখানে মহড়া দিচ্ছে। তারা লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ও সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ারের লোকজন। বাগমারা থেকে তাদের ভাড়া করে আনা হয়। ২টার পর তারা প্রতিনিধি সভায় ভাঙচুর ও গুলি চালায়। এসময় যুবদল নেতা ফিরোজ ও মনির গুলিবিদ্ধ হয়, মাথায় একজনের গুরুতর আঘাত লাগে। তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সবমিলিয়ে ৫০জন নেতাকর্মী আহত হন। এ ছাড়া তাদের লোকজন মফিজুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার জানান, মনিরুল হক চৌধুরী মনে হয় দিবা স্বপ্ন দেখছেন। তিনি আমাকে কোথায় দেখলেন? বরং গৈয়ারভাঙ্গা-বেলঘর সড়কে মিছিল চলাকালে বিএনপির লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর গুলি করে। এতে আমাদের ৮-৯জন আহত হয়।
আহতরা কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই তাদের পরিচয় আমি বলতে পারছি না।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হানিফ সরকার জানান, বেলঘরের উন্দানিয়া গ্রামে বিএনপির একজন অসুস্থ নেতাকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল মনিরুল হক চৌধুরী সাহেবের। এসময় ওই গ্রামে আওয়ামী লীগের একটি শান্তি সমাবেশ হচ্ছিল। আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল নিয়ে যাবার সময় বিএনপির লোকজন ইটপাটকেল ছুঁড়লে সামান্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, গুলি ছোড়া হলে তার কিছু আলামত থাকে। ঘটনাস্থলে আমরা তেমন কোনো আলামত দেখিনি।