ছাত্রদল নেতা হত্যায় সেকান্দর চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন

প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেকান্দর আলীসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় ১১ জন আসামি উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন তিনজন। সোমবার (২২ এপ্রিল) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২য় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এই রায় দেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাড. মো. শরীফুল ইসলাম। নিহত মো. পারভেজ হোসেন সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

inside post


দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার কালিবাজার এলাকার হাজী মো. আব্দুর রহমানের ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সেকান্দর আলী, আব্দুল লতিফের ছেলে ও যুবলীগ নেতা মো. শাহীন, আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. মোজাম্মেল হক ওরফে মূসার ছেলে ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, আহম আলীর ছেলে মফিজ ভান্ডারী, জয়নাল মাস্টারের ছেলে মো. কাওছার (পলাতক), মনির হোসেনের ছেলে মো. রিয়াজ রিয়াদ (পলাতক), শফিক মেম্বারের ছেলে বিল্লাল (পলাতক), আব্দুর রহমান ডিলারের ছেলে মো. কামাল হোসেন, হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, আব্দুল ওহেদের ছেলে মো. ইব্রাহীম খলিল, আশ্রাফ আলীর ছেলে আনোয়ার, ইমদাদুল হক জুরুর ছেলে মো. মেহেদী হাসান রুবেল এবং হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল আবেদীন। আসামিদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো পাঁচমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।


আইনজীবী অ্যাড. শরীফুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক করে সিকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত এলোপাথাড়ি মারধরে গুরুতর আহত করে। যেকারণে পারভেজের মৃত্যু হয়। এঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পারভেজের মাও বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় তদন্ত করে সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে একজন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ৩০ জন সাক্ষীর সাক্ষ গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেয়।
এদিকে রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে সরিয়ে দেয় তাদের স্বজনরা।

আরো পড়ুন