কান্নাকাটি করায় সন্তানকে হত্যা,থানায় জিডি !
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
মাত্র ছ’মাসের শিশুর চিৎকার, কান্নাকাটিতে ব্যাঘাত ঘটছিলো ঘুমের। তাই শিশুটির মুখে কাপড় চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ খালে ফেলে দিয়ে থানায় ‘শিশু নিখোঁজ’র জিডি করে ফেঁসে গেলেন পাষণ্ড মাতা-পিতা স্বপ্না ও জিল্লুর। আটকের পর তারা শিশু হত্যার দায় স্বীকারও করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড়িশল গ্রামের এহেন ঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
পুলিশ এবং স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বড়িশল গ্রামের জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না বেগম প্রতিদিনের মতোই রোববার (০১ জুলাই) রাতে তাদের ছ’মাস বয়েসী কন্যাশিশু নুসরাত জাহান তিথিকে সাথে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। সোমবার সকালে স্বপ্না বেগম তার কন্যাশিশু নুসরাত নিখোঁজ হয়েছে বলে চিৎকার শুরু করেন। পরে থানায় গিয়ে ‘শিশু নিখোঁজ’র জিডি করলে পুলিশ তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ জিল্লুরের বাড়ির পাশের একটি খালে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখেন। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বপ্না বেগম শিশু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন। তিনি জানান, চিৎকার ও কান্নাকাটি করার কারণে শিশুটির মুখে কাপড় চাপা দেয়া হয়। এতে শিশুটি মারা যায়। পরে তার স্বামী মরদেহটিকে খালে ফেলে আসতে বলেন। পুলিশ তৎক্ষনাতই মাত্র ছ’মাসের কন্যাশিশু নুসরাত জাহান তিথিকে হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগে ঘাতক পিতা-মাতা জিল্লুর রহমান ও স্বপ্না বেগমকে আটক করেন। এদিকে উদ্ধারকৃত শিশুন মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। পরে আকট স্বপ্না বেগম এবং তার স্বামী জিল্লুর রহমান শিশুটিকে হত্যা ও লাশ গুমের পেছনে জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে ঘটনা চাউর হবার পর গোটা এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আকটকৃত স্বপ্না বেগম ও জিল্লুর রহমান শিশু হত্যা ও লাশ গুমের সাথে জড়িত বলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।