অপরিচ্ছন্ন ড্রামে বিষাক্ত ক্যামিকেলের জুস

 

 প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার লাকসামে নকল শিশুখাদ্য ও নকল জুস তৈরি করায় জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে অপরিচ্ছন্ন ড্রামে বিষাক্ত ক্যামিকেল দিয়ে বানানো হয় জুস।
শনিবার (৬ জুলাই) নকল জুস ও অস্বাস্থ্যকর শিশু খাদ্য তৈরির এ কারখানায় অভিযান চালানো হয়। লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী. উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাতুন নাহার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কারখানার মালামাল ধ্বংস করেন। বিএসটিআই কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আরিফ উদ্দিন প্রিয়, ফিল্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম শাকিল অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
সূত্র জানায়, পশ্চিমগাঁও ঠাকুর পাড়ার এরশাদ উল্লাহর টিনশেড ভবনে দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটি চালাচ্ছিলেন চট্টগ্রামের মিরেরসরাই পশ্চিমপাড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে ফাহিম হোসেন। অভিযানকালে কারখানার মালিক উপস্থিত ছিলেন না। কারখানাটিতে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের কেমিক্যাল ও অস্বাস্থ্যকর রং মিশিয়ে নকল ফ্রুটি জুস, লিচি ড্রিংকস, রোবট জুস, স্পিড আইস ললি, সেভেনআপ আইস ললি, তেঁতুলের আচার, বড়ইয়ের আচার, ফাহিমের সেই আচার, টাটকা স্পেশাল চাটনি, টিকটক চিপসসহ নানা ধরনের নকল শিশুখাদ্য উৎপাদন, প্যাকেটজাত ও বিপণন করা হচ্ছিলো। অস্বাস্থ্যকর ও বিষাক্ত কেমিক্যালে তৈরি এসব জুস, ড্রিংকস খেলে নানা ধরনের পেটের পীড়া, কিডনি বিকলসহ শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি হয়।
বিএসটিআই কুমিল্লার উপপরিচালক কে এম হানিফ জানান, বিএসটিআই হতে গুণগত মান পরীক্ষণ ব্যতীত ও মান সনদ গ্রহণ না করে আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভারড ড্রিঙ্কস পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় করায় লাকসামের ঠাকুরপাড়ায় অবস্থিত মেসার্স ফাহিম ফুড প্রোডাক্টসকে এক লাখ টাকা অর্থদ- ও উপস্থিত ম্যানেজার মো. শাহাবুদ্দিনকে এক মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। উৎপাদিত ২০০ কার্টন আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভারড ড্রিঙ্কস পণ্য ধ্বংস করা হয়।