কুবিতে শীর্ষ তিনপদের শূন্যতায় স্থবিরতা
অফিস রিপোর্টার।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শীর্ষ তিনপদ ভিসি,প্রো ভিসি ও ট্রেজারের পদ শূন্যতায় উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। থমকে গেছে উন্নয়ন কাজ,বাজেট প্রণয়ন ও পরীক্ষার কেনাকাটাসহ বড় সিদ্ধান্ত গুলো। ভিসি,প্রো ভিসি ও ট্রেজারের শূন্যতা দ্রুত পূরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক,কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ^বিদ্যালয়ের সূত্র জানায়, ১৯ আগস্ট ভিসি প্রফেসর ড. এএফএম আবদুল মঈন,২৮ আগস্ট প্রো ভিসি প্রফেসর ড. মো. হুমায়ুন কবির পদত্যাগ করেন। ৪জুলাই ট্রেজারার ড. মো. আসাদুজ্জামানের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এতে তিনটি পদ শূন্য হয়ে যায়। এদিকে নিয়মিত ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ১সেপ্টেম্বর জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব দেয়া হয় বিশ^বিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর ড. মো. ছায়াদউল্লাহ খানকে।
শিক্ষার্থী জাভেদ রায়হান বলেন,আমরা কুবিতে ৮ম ভিসির অপেক্ষায় আছি। স্থবিরতা কাটিয়ে লাল মাটির ক্যাম্পাস আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠুক।
বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ভিসি না থাকায় বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়ন অগ্রগতি থমকে আছে। দ্রুত ভিসি নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।
ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নুরুল করিম চৌধুরী বলেন,ভিসি না থাকায় বড় ধরনের কেনাকাটাসহ উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে আছে। আমাদের বিশ^বিদ্যালয় থেকে কাউকে ভিসি নিয়োগ দেয়া হলে দ্রুত প্রতিষ্ঠানের গতি ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
বিশ^বিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. মো. ছায়াদউল্লাহ খান বলেন,নিয়মিত বেতন ভাতা অনুমোদন,পরীক্ষা গ্রহণ, ফলাফল প্রকাশ ও ছুটিসহ কয়েকটি কাজের সীমিত দায়িত্ব পেয়েছি। ভিসি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ^বিদ্যালয় আবার জেগে উঠবে বলে আশা করছি।