`অটিজম নিয়ে অবহেলা নয়’ 

 
অফিস রিপোর্টার।।
 কোনো শিশু ৬ মাস বয়সের মধ্যে একা একা না হাসলে, এক বছরের মধ্যে আধো আধো বোল বলতে না পারলে, ১৬ মাসের মধ্যে কোনো একটি শব্দও উচ্চারণ করতে না পারলে তখন তার অটিজম রয়েছে কিনা তা যাচাইয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। অটিজম রয়েছে এমন শিশুর মধ্যে মূলত দুই ধরনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, সামাজিক সম্পর্ক তৈরিতে অসুবিধা এবং আশপাশের পরিবেশ ও ব্যক্তির সাথে যোগাযোগের সমস্যা। সাধারণত অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তি বা শিশুরা নিজের আগ্রহ, আবেগ আর অনুভূতি অপরের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে না বা যেকোনো সামাজিক সম্পর্ক শুরুর জন্য নিজে থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করে না। সহজে কাউকে বন্ধু বানাতে পারে না। তবে অবহেলা না করে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাদের সঠিক পরিচর্যা করা জরুরি। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করাতে হবে। পাশাপাশি এটি নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাহলে অটিজজম সমস্যা কিছুটা কমতে পারে এবং এসব ব্যক্তি বা শিশুর প্রশিক্ষণের উপযোগিতা তৈরি হবে। কুমিল্লায় ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ আয়োজিত অটিজম ও সামাজিক সচেতনতা শীর্ষক কর্মশালায় এসব অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুই ভাগে বিভক্ত এ কর্মশালা সকালে উদ্বোধনী ও বিকালে সমাপনীতে অংশগ্রহণ করেন ৭টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটরবৃন্দ ও সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। উভয় পর্বেই সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম। সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রাধান প্রফেসর মো. নূরুর রহমান এবং বিকালে সমাপনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নিজামুল করিম। প্রোগ্রাম সমন্বয়ক ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান মো. আবু জাহেদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অটিজম অ্যান্ড এনডিজিজ এর মাস্টার ট্রেইনার প্রফেসর মো. আবদুল্লাহ মাসুদ। ভাষা সৈনিক গুহ মহাবিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ মো. মোস্তাক আহমেদ, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব প্রমুখ। বক্তারা আরও বলেন অটিজম আক্রান্ত শিশুরা সর্বপ্রথম অবহেলার শিকার হন পরিবার থেকে। অনেক মা-বাবা সন্তানদের এসব লক্ষণ সমূহকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না। অথচ মা-বাবার একটুখানি সচেতনতা শিশুটির জীবনবোধকে আরও সহজ করতে পারতো। এ ধরনের কর্মশালার পরিধি আরও বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান অতিথিরা।