করোনায় আফ্রিকা মহাদেশের মৃত্যুহার এত কম কেন ?
ভঙ্গুর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অপর্যাপ্ত টেস্টিং সুবিধা, জনাকীর্ণ বাসস্থান সহ নানা কারণে আফ্রিকা মহাদেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর এর প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যেই বিপর্যস্ত অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের ধনী দেশগুলোও।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফ্রিকায় কোভিড-১৯ মৃত্যুহার সম্পূর্ণ বাস্তবিক নয়। প্রায় ১.৩ বিলিয়ন জনগোষ্ঠীর এই মহাদেশে টেস্টিং এর হার সবচেয়ে কম, এরফলে অনেক মৃত্যুই হিসেবে থাকছে না।
টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ এর আঞ্চলিক পরিচালক টিম ব্রোমফিল্ড বলেছেন, “করোনা সংক্রমণে বয়স হচ্ছে সবচেয়ে ঝুকির বিষয়। আফ্রিকার তরুণ বয়সী জনগোষ্ঠী করোনা প্রতিরোধ করছে।”
তবে অধ্যাপক কারিম অবশ্য করোনা প্রতিরোধে মানুষের বয়সকে অত গুরুত্ব দিতে চাচ্ছেন না।
তিনি মনে করেন, “মহামারীর যাত্রাপথে পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি জয়। বিশ্লেষকরা এই মহাদেশের করোনা সাফল্যের পেছনে এখানকার জনসংখ্যার স্বাস্থ্য সক্ষমতাকে গুরুত্ব দিতে চাচ্ছেন না।”
মহামাহরী ছড়িয়ে পড়ার আগে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করার ফলে করোনা থাবা বসাতে পারেনি। জনগণকে মাস্ক পরা এবং অক্সিজেন সরবরাহ বিষয়ে মানুষকে পরিষ্কার ধারণা দেয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আরো ধারণা করা হচ্ছে, উষ্ণ আবহাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তবে অধ্যাপক কারিম সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “এটা ভেবে খুশি হওয়ার কারণ নেই যে আফ্রিকার তার খারাপ সময় পার করে এসেছে। নিশ্চিতভাবে বলা যায় না, হয়তো যেকোন সময় ব্যাপকহারে মহামারী ছড়িয়ে পড়তে পারে।”