`প্লাস্টিকের প্রচলন না কমালে ৫০ বছর পর পৃথিবী বিপদে পড়বে’

inside post
প্রতিনিধি।।
প্লাস্টিকের প্রচলন না কমালে ৫০ বছর পর পৃথিবী বিপদে পড়বে। আর যখন পৃথিবী বিপদে পড়বে তার আগে বিপদে পড়বে পৃথিবীর প্রাণিকূল। সমুদ্র শুকিয়ে সামুদ্রিক প্রাণীরা মারা যাবে। খাদ্য শৃঙ্খল ভেঙ্গে যাবে। এরপরেই পৃথিবী ধ্বংস হবে। নিশ্চয়ই তোমরা শিক্ষার্থীরা এটা চাও না। এসব বিষয় নিয়েই কাজ করে প্রাণিবিদ্যা সমিতি। বিশেষ করে প্রাণীকূল রক্ষা ও তাদের সংরক্ষণের আন্দোলন চালাচ্ছে এই সমিতি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে প্রাণিবিদ্যা সমিতির আয়োজনে প্রাণিবিদ্যা অলিম্পিয়াডে এসব কথা বলেন অতিথিরা।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কুমিল্লা অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  দিনব্যাপী র‌্যালি, আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ও বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন মো. শাহজাহান ভূঁইয়ার সমন্বয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সহসভাপতি প্রফেসর ড. মো. নিয়ামুল নাসের, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান প্রফেসর তাওহিদা আক্তার, মৎস্য অধিদপ্তরের পরামর্শক ড. মন্মথ নাথ সরকার।উপস্থিত ছিলেন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
সকালে কলেজের জিয়া অডিটোরিয়াম থেকে র‌্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হয় অলিম্পিয়াডের আনুষ্ঠানিকতা। এসময় বেলুন উঠিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এরপর দুপুরে প্রতিযোগীরা পরীক্ষায় অংশ নেন।
আয়োজকরা জানান, অলিম্পিয়াডে কুমিল্লা অঞ্চলের ৪ জেলার ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই গ্রুপে গ্রুপের ২৩০ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। অলিম্পিয়াডে উচ্চ মাধ্যমিক গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জুতি আক্তার ও রানার আপ হয়েছেন চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের হুমাইরা আক্তার। স্নাতক স্নাতকোত্তর গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ফেনী সরকারি কলেজের মিসুতা সুলতানা ও রানারআপ হয়েছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের শাহেলা বিনতে জিহাদী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. হামিদা খানম বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রাণিবিদ্যাকে প্রিয় করে তুলতে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির উদ্যোগে ২০১৪ সন হতে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী প্রাণিবিদ্যা অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার এই অলিম্পিয়াড এর ১৩ আসর। বিষয় হিসেবে প্রাণিবিজ্ঞানকে অধিক পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য করে তোলাই এই অলিম্পিয়াডের উদ্দেশ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সহসভাপতি নিয়ামুল নাসের বলেন, অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে প্রাণিবিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে ভবিষ্যতে এ বিষয়টি দেশের কল্যাণে কাজে লাগানোও অন্যতম উদ্দেশ্য। সারা বাংলাদেশকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত করে অলিম্পিয়াড পরিচালিত হচ্ছে। প্রাণিবিজ্ঞান অলিম্পিয়াড দেশের প্রাণিবিজ্ঞানীদের বিশেষ করে প্রাণিবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সকল অঞ্চল থেকে অলিম্পিয়াডের সকল গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দুজন করে জাতীয় পর্যায়ে নেয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের পুরষ্কৃত করা হবে।
আরো পড়ুন