আমরা ঈমানের সাথে বেঁচে ছিলাম, জিহাদ করেছি: ডাঃ তাহের

সানোয়ার হোসেন,চৌদ্দগ্রাম।।
যারা বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে; দোকানে চাঁদাবাজি করে; গভীর রাতে অস্ত্র ঠেকিয়ে মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নেয়; তারা কি ভাল মানুষ? না। এই চৌদ্দগ্রাম এই কুমিল্লা এই বাংলাদেশ বিগত পনের বছরে এরকম একটি দুঃসহ অন্ধকার কালো রাত্রি ছিল। ঠিক কি না? আজকে যখন এই রাস্তা দিয়ে কনকাপৈত আসছিলাম; গাড়িতে আমাদের নেতৃবৃন্দ ছিল; তারা আমাকে বললো গত পনেরো বছরে এই রাস্তা দিয়ে পার হওয়া ছিল কঠিন। আমাদের বুক ধুর ধুর করে কাঁপতো। সেই জায়গা গুলোর নাম বলতে চাই না। আজ সেই খানে আপনাদের ইসলামি আন্দোলনের পতাকা।

inside post

আল্লাহ পরিবর্তন করে দিয়েছেন কি না? এর জন্য প্রয়োজন ইমান; প্রয়োজন সংগ্রাম; প্রয়োজন রক্ত; প্রয়োজন শাহাদাৎ ; প্রয়োজন দুঃসাহস; আর প্রয়োজন স্বাভাবিক ধৈর্য। বাংলাদেশের মানুষ যে সকল ইসলামি শর্ত বিজয়ের জন্য সেই শর্ত পূরণ করেছিল। ঈমান, জিহাদ, হিজরত, শাহাদাৎ। আমরা ঈমানের সাথে বেঁচে ছিলাম; আমরা জিহাদ করেছি; আমরা হিজরত করেছি; এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় থাকতে বাধ্য হয়েছিলাম।

২৩ জানুয়ারি রাতে  কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কনকাপৈত ইসলামি সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাহের এসব কথা বলেন।

মাওলানা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় তাফসীরুল মাহফিলে প্রধান মুফাচ্ছির হিসেবে তাফসীর পেশ করেন মাওঃ ক্বারী আবদুল্লাহ আল আমিন। বিশেষ মুফাচ্ছির হিসেবে ছিলেন ড. মাওলানা সাদেকুর রহমান আজহারী, মাওলানা মুফতি লোকমান হোসাইন।  আয়োজিত মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট শাহজাহান, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমান, ভিপি সাহাব উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, পৌর জামায়াতের আমীর মাওঃ ইব্রাহিম প্রমুখ।

আরো পড়ুন