৩০বছর পর জানা গেল আইন কলেজের অধ্যক্ষের সনদ জাল!
প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বঙ্গবন্ধু ল কলেজ। ৩০বছর পর জানা গেল এই কলেজের অধ্যক্ষের এলএলবি পাশের সনদটি জাল! তিনি অ্যাডভোকেট সরদার মো. আলী আজাদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু ল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো, ইলিয়াছ। এনিয়ে মঙ্গলবার কুমিল্লার আদালতপড়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার খান বলেন,এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। এই সরদার মো. আলী আজাদ ৪৪বছর আইনজীবী ছিলেন। ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর। ৩০বছর ধরে অধ্যক্ষ। অধ্যক্ষ প্রতারণা করলে ছাত্ররা কী শিখবে? তাও আবার আইনজীবী তৈরির কলেজে।
বঙ্গবন্ধু ল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, তিনি সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে দীর্ঘ ৪৪ বছর আইন পেশা এবং বঙ্গবন্ধু ল কলেজের ৩০বছর অধ্যক্ষের দাযিত্ব পালন করেছেন। বিষয়টি জেনে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমি লজ্জিত। তার শাস্তি দাবি করছি। এছাড়া আরো যারা ভুয়া সনদ নিয়ে কাজ করছেন তাদেরও শনাক্ত করা হোক।
বঙ্গবন্ধু ল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো, ইলিয়াছ বলেন. সরদার মো. আলী আজাদ বঙ্গবন্ধু ল কলেজে দীর্ঘ সময়ে অধ্যক্ষ ছিলেন। তার দুর্নীতির বিষয়ে গঠিত কমিটি কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে দেখেন-তার ১৯৬৮সালের সনদে লেখা কুমিল্লা,বাংলাদেশ। বিষয়টি আমাদের সন্দেহ হয়। তখনও তো বাংলাদেশ হয়নি। ডিগ্রির সনদ খুঁজতে গিয়েও দেখি একই অবস্থা। এরপর আমরা চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে খোঁজ নিই তার এলএলবি সনদের সত্যতা নিয়ে। সেখান থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানিয়েছেন সনদটি জাল। আমরা তার আইনজীবী সনদ বাতিলের জন্য বার কাউন্সিলে আবেদন করবো।
চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষ নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যাহ পাটোয়ারী বলেন, বঙ্গবন্ধু ল কলেজ থেকে সরদার মো. আলী আজাদের একটি সনদ আমাদেরকে পাঠানো হয়েছে। আমরা তা যাছাই করে দেখেছি। সনদটি জাল।
অভিযুক্ত সরদার মো. আলী আজাদ বলেন,তার সম্মানহানির জন্য এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সনদ জালের বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। একবার বলেন,১৯৮০সালে সনদ পাননি। প্রশংসাপত্র পেয়েছেন। আবার বলেন, তিনি লেখাপড়া করেই আইনজীবী হয়েছেন, তবে তার কাছে কোন সনদ নেই।