নগরীজুড়ে ড্রেনের স্ল্যাব ভাঙ্গা, চলাচলে প্রতিবন্ধকতা

অফিস রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীর প্রায় ড্রেনের ওপর দিয়ে চলাচল করেন পথচারীরা। সেই ড্রেনের ওপরের স্ল্যাব বিভিন্ন এলাকায় ভেঙ্গে আছে দীর্ঘদিন। এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। কোথাও তারা হাঁটতে গিয়ে অসাবধনতায় ড্রেনে পড়ে আহত হচ্ছেন। দ্রুত ভাঙ্গা স্ল্যাব গুলো সরিয়ে সেখানে নতুন স্ল্যাব দেয়ার দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,নগরীর মগবাড়ি বাজারের পাশ দিয়ে কালিয়াজুরির দিকে যাওযা সড়কের পাশের ড্রেনের ওপরের স্ল্যাব গুলো ভাঙ্গা। বেশি ভাঙ্গা আফতাবুল ইসলাম মঞ্জুর বাস ভবন সংলগ্ন এলাকার ড্রেনের স্ল্যাব গুলো। বাগিচাগাঁও বড় মসজিদ থেকে ফায়ার সার্ভিস এলাকার সড়কের পাশে ও ফয়জুন্নেছা স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ড্রেনের স্ল্যাব ভাঙ্গা। পদুয়ার বাজার এলাকার রেলওভার পাসের ড্রেনের স্ল্যাব ভাঙ্গা। রানীর বাজার সড়কের ট্রমা হাসপাতালের পাশে, নেউরা পূর্বপাড়া মসজিদের পাশে ও দক্ষিণ চর্থা বড় পুকুর পাড়ের পাশের ড্রেনের স্ল্যাব ভাঙ্গা। নিউ হোস্টেলসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানের ড্রেনের স্ল্যাব ভাঙ্গা রয়েছে।
রাজাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু সুফিয়ান রাসেল ও ইপিজেড এলাকার হাসিবুল ইসলাম সজিব বলেন,দীর্ঘদিন নগরীর বিভিন্ন স্থানে স্ল্যাব ভেঙ্গে পড়ে আছে। এসব পথে চলতে ¯্রষ্টাকে স্মরণ করি। কারণ কখন না জানি ড্রেনের ময়লা পানিতে ডুবে যাই। এবিষয়ে সিটি করপোরেশনের নজর নেই বললেই চলে।
নগরীর কাপ্তান বাজারের বাসিন্দা খায়রুল আহসান মানিক বলেন, মগবাড়ি বাজারের পাশ গিয়ে কালিয়াজুরির দিকে যাওয়া সড়কের পাশের ড্রেনের ওপরের অনেকগুলো স্ল্যাব ভাঙ্গা। বেশি ভাঙ্গা ব্যবসায়ী আফতাবুল ইসলাম মঞ্জুর বাস ভবন সংলগ্ন এলাকার ড্রেনের। এখানে মানুষ পথ চলতে বেকায়দায় পড়ছেন। এগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন।
সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সদস্য মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আখন্দ বলেন,অশোকতলা,রানীর বাজার ও ধর্মপুর এলাকার অনেকগুলো স্ল্যাব ভাঙ্গা। এই এলাকায় শিক্ষার্থীরা চলাচলে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। স্ল্যাব গুলো মজবুত করে তৈরি করা প্রয়োজন।
সিটি করপোরশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আবু সায়েম ভুইয়া বলেন, কুমিল্লা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৬শ’ কিলোমিটারের বেশি ছোট বড় ড্রেন রয়েছে। তার অধিকাংশের ওপরে স্ল্যাব দেয়া। সম্প্রতি ২১০কিলোমিটার ড্রেনের পুন:সংস্কার ও নতুন নির্মাণ শুরু হয়েছে। এছাড়া ভাঙ্গা স্ল্যাব গুলোর সংস্কার কাজ রোজার পরে শেষ করবো।

inside post
আরো পড়ুন