মুরাদনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে আগুনের ঘটনায় আটক সাতজন

 

inside post

মুরাদনগর প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার মুরাদনগরের কোরবানপুরে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সাতজনকে আটক করা হয়। এর আগে রবিবার সহিংসতার স্থল থেকে আরও পাঁচজনকে আটক করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সাতজনকে আটক করে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার ভোরে আটককৃতরা হলেন কোরবানপুর জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান, পাক দেওরা গ্রামের আবু নাঈম, বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন, খোশঘর গ্রামের আলী নূর, নসু মিয়া, খৈয়াখালী গ্রামের শাকিল মিয়া। আটককৃতদের মধ্যে নসু মিয়া সন্দেহভাজন আসামি। বাকি ছয়জন এজহার নামীয়। সহিংসতার ঘটনায় এপর্যন্ত মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে মোট আসামি করা হয়েছে ১১৮২জনকে।

 

সর্বশেষ মঙ্গলবার বিকালে মামলা দায়ের করেন কোরবানপুর গ্রামের ভারতী দেবনাথ। এতে অজ্ঞাতনামা ১৭০জনকে আসামি করা হয়। সোমবার তিনটি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় কোরবানপুর গ্রামের সন্দীপ, লিটন ও পূর্ব ধইর ইউপি চেয়ারম্যান বন কুমার শিব। আন্দিকুটের ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

 

উল্লেখ্য-শনিবার মহানবীকে (সা.) ব্যঙ্গ করে কোরবানপুর ও আন্দিকুটের দুইজন ব্যক্তি স্ট্যাটাস দিয়েছেন-এমন ঘটনা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কোরবানপুরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওইদিন বিকেলে বাঙ্গরা বাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন কোরবানপুরের ধনমিয়া নামের এক ইউপি সদস্য। রাতেই দুই অভিযুক্ত কোরবানপুর গ্রামের রায় মোহন দেবনাথের ছেলে স্থানীয় কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক শংকর দেবনাথ ও আন্দিকুট গ্রামের জীবন ভৌমিকের ছেলে অনিক ভৌমিককে আটক করে।

 

রবিবার বিকেল ৩টায় কোরবানপুর বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মসজিদের ইমামদের নিয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানে মিটিং শুরু হয়। মিটিং চলাকালীন সময়েই শিক্ষক শংকর দেবনাথের বাড়িতে আগুন দেয় একদল লোক। এরপর কোরবানপুরের সাবেক চেয়ারম্যান বেণু ভূষণ শিবের স্মরণে তৈরি ভোজনালয়, মণিলালের বাড়ি, সূধন শিবের বাড়ি ও চেয়ারম্যান বন কুমার শিবের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। এসময় বাড়িতে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুট করা হয় বলে দাবি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের।

আরো পড়ুন