একশ একুশ বছরের বাতিঘর ; মাসুদা তোফা


 দানবীর  জ্ঞানবীর  রায় বাহাদুর
 
 আনন্দ চন্দ্র রায়।
 
 একশ একুশ বছর আগে
 
 গড়লেন বিদ্যাপীঠ এক
 
 অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবে
 
 শিক্ষা বিস্তারে আর ভালো মানুষ গড়ার অভিপ্রায়ে।
 
 আজো অটল  অবিচল  শ্রেষ্ঠ  বাতিঘর
 
 ভিক্টোরিয়া  নামেতে সে উজ্জ্বল  আলোকবর্তিকা
 
 ব্রিটিশ ভারতে জন্মে  দেখেছো
 
 বঙ্গভঙ্গ , বিশ্বযুদ্ধ  আরও কতো  কি
 
 অবিরাম বাংলায় কথা  বলার সংগ্রামে,
 
 বায়ান্ন থেকে একাত্তরে
 
 তোমার  শহিদ সন্তানেরা  জীবন  দিয়ে
 
 এনেছে  ভাষা, এনেছে দেশ।
 
 বীর মুক্তিযোদ্ধা যত করেছে ত্যাগ শত
 
 আন্দোলন সংগ্রামে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে
 
 সবাই অবিচল নিবিষ্ট  নিবিড় নির্মোহ
 
 একশ একুশ বছরের  কালের সাক্ষী
 
 গড়েছো একে একে অগণিত মেধাবী
 
 প্রথিতযশা  মানুষ, বিশ্বজুড়ে  খ্যাতি
 
 কতশত জয়  কত বিখ্যাত  কীর্তি
 
 তোমার পাঠশালায় হয়েছে সৃজন  কত সুজন।
 
 তুমি সর্বংসহা আলোর দিশারী, পথপ্রদর্শক
 
 দাও জ্ঞান  দাও প্রেরণা অনিবার
 
 গড়তে   ভালো  মানুষ , মানবিক  পরহিতজন।
 
 তুমি এ যুগের কিংবদন্তি,  অনিন্দ্য  বটবৃক্ষ।
 
 ঐতিহ্যে অতুলনীয় তুমি, গর্বেও সেরা
 
 মানুষ  গড়ার কারিগর তোমাতেই নিহিত।
 
 জ্ঞানে আলোকিত হউক, হউক মহীয়ান
 
 সগৌরবে উদ্ভাসিত হউক  যত ভিক্টোরিয়ান
 
 শুভ হউক তব জন্মদিন হে প্রিয় প্রতিষ্ঠান।