‘কাউন্সিলরের অস্ত্র হাতে নাচানাচির ভিডিও তাজিয়া মিছিলের’

 

inside post

আমোদ রিপোর্টার।।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিলের অস্ত্র হাতে নাচানাচির ভিডিওটি যুবলীগ নেতা রোকনকে গাড়িচাপা দেওয়ার পরের নয় বলে দাবি পরিবারের। তাদের দাবি, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মহরমের তাজিয়া মিছিলের। বৃহস্পতিবার দুপরে নগরীর চকবাজারের কাশারীপট্টি এলাকায় সাইফুলের বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তার মা অ্যাডভোকেট মনোয়ারা বেগম। তিনি যুবলীগ নেতাকে গাড়িচাপা দেওয়ার মামলাকে মিথ্যা দাবি করে তার সাময়িকভাবে বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।

অ্যাডভোকেট মনোয়ারা বেগম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে যোগ দেয় সে। আওয়ামী লীগে যোগদানের পর থেকে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কুৎসা রটনা শুরু হয়। তারই অংশ হিসেবে তাজিয়া মিছিলের ভিডিও ফুটেজকে গাড়িচাপা দেওয়ার পর অস্ত্র হাতে উল্লাস ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে চালিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাইফুল নির্দোষ। সে রোকনকে গাড়ি চাপা দেয়নি। আমরা অবিলম্বে সাইফুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাই।


এদিকে যুবলীগ নেতা রোকনের দায়ের করা মামলায় কারাগারে গিয়ে কাউন্সিলর সাইফুল নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েন বলে খবর পাওয়া গেছে। গত ১৯ মার্চ বিকেলে একটি মিছিল চলাকালে কাউন্সিলর সাইফুল যুবলীগ নেতা রোকনকে গাড়িচাপা দেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে আদালতের নির্দেশে ২০ মার্চ বিকেলে সাইফুলকে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এরপর তাকে কারা হাসপাতালের অধীনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখার পর থেকে তিনি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েন। তিনি সেখানে ঘুমাতেন না, অতিরিক্ত কথা বলতেন আর একটু পরপর চিৎকার-চেঁচামেচি করতেন। এছাড়া সেখানে একজনকে মারধর এবং রেগে গিয়ে পানির লাইনও নষ্ট করে ফেলেন। পরে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কারাগার থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারাবন্দী ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়। কুমিল্লা কারা হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. রেজা মো.সারোয়ার আকবর সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন