ভালো নেই কুমিল্লার ৩০ হাজার বাস শ্রমিক
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
ভালো নেই কুমিল্লার ৩০ হাজারের বেশি বাস শ্রমিক। আয় না থাকায় হতাশায় দিন পার করছেন তারা। এদিকে বাস মালিকরাও এসব শ্রমিক ধরে রাখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে দু:চিন্তায় রয়েছেন। অনেকে জীবন জীবিকার প্রয়োজনে পেশা পরিবর্তন করছেন।
বাস মালিক ও শ্রমিকদের সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা,জাঙ্গালিয়া ও চকবাজার থেকে জেলার ভেতরে এবং দেশের বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করে। এখানের বাস গুলোতে ২০ হাজারের বেশি বাস চালক,সুপার ভাইজার ও হেলপার কাজ করেন। এছাড়া রয়েছেন কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা লোকজন। এদিকে নগরীর তিনটি বাস টার্মিনাল ছাড়াও জেলার পদুয়ার বাজার, মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ, লাকসাম, চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, দাউদকান্দি, বরুড়া, চান্দিনা সদর থেকে বিভিন্ন স্থানে বাস চলাচল করে। সেখানেও ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। এদিকে টার্মিনাল গুলোতে এখন আগের মতো নেই হাঁকডাক,চারদিকে সুনশান নিরবতা।
কুমিল্লা জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন,জেলায় ৩০হাজারের বেশি বাস শ্রমিক রয়েছে। এবার তারা ঈদে সন্তানদের নতুন জামা দূরে থাক পরিবারের খাবারও জোটাতে পারছে না। তারা না পারছে কাজ করতে, না পারছে হাত পাততে। জেলার ভেতরে বাস চলাচলের কথা বলা হলেও তাতে অধিকাংশ শ্রমিকই কাজ পাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচল উন্মুক্ত করার দাবি জানান তিনি।
কুমিল্লা মোটর এসোসিয়েশন (বাস মালিক সমিতি) সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার ও সেক্রেটারি তাজুল ইসলাম বলেন,এখন বাস মালিক ও শ্রমিকদের দুর্দিন চলছে। আমরা ব্যক্তিগত ভাবে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে তা যথেষ্ট নয়। তাদের বেশি আরো সহযোগিতার জন্য এমপি মহোদয় ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি।
কুমিল্লা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাবেক সভাপতি মো. আবদুল হক বলেন,সিএনজি অটো রিকশায় তিনজনের স্থলে ছয়জন,মাইক্রোতে নয়জনের স্থলে ১৫জন উঠাচ্ছে। তবে অর্ধেক সিট খালি রেখে বাস চালু রাখলে করোনা বাড়বে না। বাস রাস্তায় যাত্রী নামায়,অটো রিকশা বাড়িতে গিয়ে যাত্রী নামায়। এতে করোনা আরো বেশি বাড়বে। মালিক ও শ্রমিকদের বাঁচাতে বাস চালুর দাবি করছি।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন,বাস শ্রমিকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। স্থানীয় এমপি মহোদয় ও জেলা প্রশাসন বুধবার সাড়ে ছয়শ’ শ্রমিকের মাঝে সহযোগিতা প্রদান করবে।