‘একটু প্রুফ দেখি আবার দৌড়ে গিয়ে চুলায় তরকারি দেখা’
অফিস রিপোর্টার।।
কম বয়সে বিয়ে হয়েছে। শুনেছি বর একটি পত্রিকা চালান। কিন্তু এর কাজ কি বুঝিনি। পঞ্চাশ দশকের শেষ দিকে কুমিল্লায় অনেক শিক্ষিতও লোকও পত্রিকা সম্পর্কে তেমন কিছু জানতেন না। তখন ঢাকা থেকে বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে কুমিল্লা শহরে ৩শ/৪শ‘ কপি পত্রিকা আসতো। বাসা-বাড়িতে তেমন পত্রিকা রাখা হতো না। প্রথমে পত্রিকা ভাঁজ, টিকিট লাগানো, ঠিকানা লাগানোর কাজ করতাম। পরে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রুফ দেখা শুরু করলাম। আমার প্রথম সংবাদ ছিলো সিনেমা হলের উপর। এক রাতে স্বামী-স্ত্রী মিলে হলে সিনেমা দেখতে যাই। সেখানে হল ভিজিটে কোনো বিশিষ্ট লোক আসায় তার জন্য বার বার চা-নাস্তা আনা নেওয়া করা হয়, এতে দর্শকরা বিরক্ত হচ্ছিলেন। সিনেমা দেখে ফেরার সময় এই বিরক্তির বিষয়টি সম্পাদকের কাছে তুলে ধরলাম। তিনি বললেন, এ বিষয়ে একটি সংবাদ লিখতে। আমিতো ভয়ে অস্থির, এটা নিয়ে আবার কি সংবাদ লিখবো! পরের দিন ‘সিনেমা হলে চা-চক্র’ শিরোনামে একটি সংবাদ লিখলাম। এরপর আস্তে আস্তে পত্রিকার কাজ, সন্তান সামলানো এক সাথে চললো। একটু প্রুফ দেখি আবার দৌড়ে গিয়ে চুলায় তরকারি দেখি। ১৯৮৫ সালে মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী নিজ থেকে সম্পাদকের দায়িত্ব আমার হাতে ছেড়ে দিয়ে একটু অবসর চাইলেন। ২০১৫সালে কুমিল্লায় আমোদ অফিসে এক সাক্ষাতকারে প্রতিবেদক মহিউদ্দিন মোল্লাকে এসব তথ্য জানান শামসুননাহার রাব্বী।