কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আলোচনায় যারা
আবু সুফিয়ান রাসেল।।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন আগামী ৯ মার্চ। তারিখ ঘোষণার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে মেয়র পদে নতুন মুখসহ বিভিন্নজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
দলীয় প্রতীক ছাড়া এ নির্বাচনে লড়াই করবেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাবেক নেতারা।
সূত্রমতে, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মারা যান কুসিক মেয়র আরফানুল হক। ১৮ ডিসেম্বর মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসাবে দায়িত্ব নেন প্যানেল মেয়র ও ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর আল-আমিন সাদী।
নির্বাচন বিষয়ে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। শনিবার কুমিল্লা আসবো। নেতাকর্মীরা যদি মতামত দেয়, নির্বাচন করবো। গত ইলেকশনে আমার সাথে কি আচরণ করেছে কুমিল্লার মানুষ দেখেছে। টিভিতে লাইভ দেখেছে। যা কিছু করুন, রাজনীতির মাঠ থেকে আমাকে সরাতে পারবে না।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ খোকন বলেন, দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা প্রতীক দেবেন, আমরা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে সঙ্গে নিয়ে তাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।
গত নির্বাচনের ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। নগরবাসীর দোয়া নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এ উপনির্বাচনে অংশ নেব। আমি দলের না। সবার জন্য কাজ করতে চাই।
মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাহমুদ তানিম বলেন, নেত্রী যদি আমাকে বলে। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হয়ে কুমিল্লাকে একটি মডেল শহরে রূপান্তর করবো।
সাবেক সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, আপার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। নেত্রী যদি বলেন, তবে নির্বাচন করবো। আমি বা আমার বাবা কখনো দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ছিলেন না।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আবুল কালাম বলেন, গণমাধ্যমের সূত্রে আমরা ৯মার্চ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কথা জেনেছি। মঙ্গলবার পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্র পাইনি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু। পরের বছর প্রথম এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় সিটি নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন সাবেক বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৫ জুন তৃতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক মেয়র নির্বাচিত হন।