কুমিল্লায় দুই মন্ত্রীর ফাঁকা মাঠ
তৈয়বুর রহমান সোহেল।।
কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনের নয়টিতে আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। কোনো কোনো আসনে আওয়ামী লীগের চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল ও এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী নির্বাচন করছেন না। অন্যান্য দলের প্রার্থীদের অনেকে অচেনা। ফলে কার্যত ফাঁকা মাঠেই গোল দিচ্ছেন দুই মন্ত্রী।
কুমিল্লার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম- মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম , তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাতীয় পার্টির গোলাম মোস্তফা কামাল, জাকের পার্টির অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মো.হাসান মিয়া, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবু বকর সিদ্দিক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মনিরুল আনোয়ার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জমির উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোয়াজ্জেম হোসেন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
কুমিল্লা-১০ (লালমাই-সদর দক্ষিণ-নাঙ্গলকোট) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম অহিদুর রহমান, জাতীয় পার্টির মিসেস জোনাকি হুমায়ুন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. কামরুজ্জামান, তৃণমূল বিএনপির মো. আবুল কাশেম মজুমদার, জাকের পার্টির জাহাঙ্গীর আলম ও গণফোরামের শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
মাঠ পর্যায়ে দুই মন্ত্রী ছাড়া বাকি প্রার্থীদের অবস্থান নেই। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামালের কুমিল্লা-১০ আসনে নির্বাচন করার সম্ভাবনা ছিল নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহান মজুমদারের। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে যাননি। এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের নির্বাচনী এলাকা থেকেও আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (রাজনৈতিক) আবদুল মান্নানের নির্বাচনে যাওয়ার কথা শোনা যায়। তিনিও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাননি। কুমিল্লার বাকি নয় আসনের সবকটিতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন। সব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হলে ওই নয় আসনে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে।