জেঠার বিরুদ্ধে এতিম ভাতিজার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ


উপজেলা রিপোর্টার,চৌদ্দগ্রাম ।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আনন্দপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুরো পরিবার হারানো মাদ্রাসা ছাত্র ওয়ালিদ আপন জেঠা আব্দুল হালিমের ভয়ে পিতার বসতভিটায় যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। শনিবার দুপুরে সে তাঁর মামাসহ চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
ওয়ালিদের মামা মনজুর আহমেদ মানিক বলেন, আমার ভগ্নিপতি মৃত্যুর আগে ইতালী প্রবাসী ইয়াকুব আলী খোকনের পিতা মোবারক হোসেনের নিকট একটি বায়নাপত্রের মাধ্যমে ভূমি বিক্রি করেন। সাফ কবলা দেয়ার পূর্বেই ২০২১ আমার ভগ্নিপতি আব্দুল মতিন ঢাকায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে স্ত্রী ও মেয়েসহ আগুনে পুড়ে মারা যান। ওয়ালিদ ওই সময় একটি মাদ্রাসার আবাসিকে থাকায় বেঁচে যায়। আমাদের এবং ওয়ালিদের দায়িত্ব তাঁর পিতার ওয়াদা পূরণ করা। ওয়ালিদের পিতা-মাতা ও ভাই-বোন কেউই নেই। ২০২১ সালের পর থেকেই ওয়ালিদের অভিভাবক হিসেবে আমি দেখাশোনা করে আসছি।
এতিম ওয়ালিদ বলেন, আমার বাবার ওয়াদা আমি ১৮বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথেই মোবারক জেঠাকে (এয়াকুব আলী খোকনের পিতা) কবলা দলিল প্রদানের মাধ্যমে পূরণ করবো। এ সময় ওয়ালিদ আরও বলেন, আমার আপন জেঠা আব্দুল হালিম আমার বাবার রেখে যাওয়া বসতভিটায় আমাকে যেতে দিচ্ছে না। আমার পিতার রেখে যাওয়া দোকানের ভাড়াও তিনি নিয়ে যাচ্ছেন। আমি মারা গেলে আব্দুল মতিনের আর কোন ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকবে না। আমি আমার জেঠা আব্দুল হালিমের ভয়ে আমার পিতার বসতভিটায় যেতে পারছি না।
অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে রোববার বিকেলে আবদুল হালিম বলেন, ‘আমি তো ভাতিজা ওয়ালিদকে অনেক দিন দেখি না। তাকে নিয়ে এসে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলেন। তাহলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।’