নারী দিবসে লাকসামে গরীব-কন্যার বিয়ের আয়োজনে যুবলীগ
আমজাদ হাফিজ, লাকসাম।।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কুমিল্লার লাকসামে জনৈক গরীব পিতার কন্যার বিয়ের আয়োজন করে সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে পৌর ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতাকর্মীরা। নিজেদের সম্মিলিত অর্থায়নে সোমবার (৮ মার্চ) ওই কন্যার বিয়ের আয়োজন করে পৌর ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের শাহীন। এর আগে রবিবার রাতে ওই কন্যার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগ নেতাকর্মীদের এ মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জানা যায়, লাকসাম পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড উত্তর লাকসাম কালী বাড়ির ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দা হারাধন দাস দাম্পত্য জীবনে একমাত্র কন্যার জনক। নিজের ভিটে-মাটি না থাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি একটি ভাড়া ঘরে বাস করেন। অভাব-অনটনের সংসারে অন্যের অনুগ্রহেই তার জীবিকা মিলে। দীর্ঘ দিন ধরে আর্থিক সংকটের কারণে একমাত্র কন্যার বিয়ের আয়োজন করতে অপারগ ছিলেন তিনি। এ বিষয়ে সম্প্রতি জেলেপাড়া যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতির আলোচনা হলে তিনি সম্মিলিত অর্থায়নে হারাধন কন্যার বিয়ের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে ওই কন্যার বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করে ৮ মার্চ সোমবার বিয়ের দিনধার্য্য করা হয়। বিয়ের আয়োজনে সম্মিলিত অর্থায়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখেন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এতে যুবলীগের সাথে স্থানীয় বিত্তবানরাও অংশ নেন।
মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করায় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ও স্থানীয় বিত্তবানদেরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা অপু দাশ অনিক বলেন, ‘আমরা সবসময় নিজের মধ্যে মানবতার কল্যাণে কাজ করার মত মানসিকতা লালন করলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারবে।’
ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দুল কাদের শাহীন বলেন, ‘নিজেদের সম্মিলিত অর্থায়নে একজন দরিদ্র পিতার কন্যার বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করতে পেরে আমি আনন্দিত। যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করায় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ও স্থানীয় বিত্তবানদেরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা অপু দাশ অনিক বলেন, ‘আমরা সবসময় নিজের মধ্যে মানবতার কল্যাণে কাজ করার মত মানসিকতা লালন করলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এর সুফল ভোগ করতে পারবে।’
ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দুল কাদের শাহীন বলেন, ‘নিজেদের সম্মিলিত অর্থায়নে একজন দরিদ্র পিতার কন্যার বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন করতে পেরে আমি আনন্দিত। যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’