পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনে ধর্মের ভূমিকা–মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধভাবেই মানুষকে বাঁচতে হয়; জীবন ধারণ করতে হয় এবংবাঁচার জন্য বহুমাত্রিক সংগ্রাম করতে হয়। জীবনের পথ পরিক্রমায় মানুষকে অন্যের সাহায্য- সহযোগিতা নিতে হয়। পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ধর্মীয় অনুশাসন ও নির্দেশনা মানুষের চলার পথকে মসৃন করার সাথে সাথে মানুুষের জীবনকে করে উপভোগ্য, তৃপ্তিময় ও সামাজিক সম্পর্ককে করে সুদৃঢ়। ধর্ম মানব জীবনে অনিবার্য এক বাস্তবতা; যার অন্য কোন বিকল্প এখনো মানব সভ্যতায় আসেনি। পূঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় মানুষ নিজের চিন্তা ভাবনাকে অনেকটাই ব্যক্তিগত স্বার্থ ও সুবিধাকে কেন্দ্র করে সাজায়।
ফলে শহুরে কি গ্রামে সর্বত্র একান্নবর্তী পরিবারগুলো পূর্বের সকল ঐহিত্য ভেঙ্গে ছোট পরিবারে আত্মপ্রকাশ কারার সাথে সাথে মানুষের ব্যবহারিক জীবেনর সম্পর্কগুলোও অনেকটা অফিশিয়াল হতে চলেছে। পারস্পরিক সুনিবিড় সম্পর্কে ছিড় ধরতে চলেছে। মানবিকতায় সমৃদ্ধ একটি শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণের জন্য পারস্পরিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।আর নিজ নিজ ধর্ম হতে পারে এ ক্ষেত্রে এক অনবদ্য নিয়ামক শক্তি।
ইসলাম ধর্মের আলোকে সৃষ্টিকর্তা সকল মানুষকে সম্মানিত ও চমৎকার আকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন (সূরা ত্বীন)। সমাজ জীবনে ধর্মীয় নির্দেশনা হলো ব্যক্তির মান-সম্মান ও ইজ্জতের নিরাপত্তা প্রদান করা। রাসূল সা. বলেন, ‘যে মুসলমান তার মুসলিম ভাইয়ের ইজ্জতহানি থেকে বিরত রাখবে, আল্লাহর প্রতি তার অধিকার এই যে, তিনি জাহান্নামের আগুনকে তার থেকে বিরত রাখবেন। অতঃপর রাসূল সা. এই আয়াত পড়লেন, মুসলমানদের সাহায্য করা আমাদের প্রতি এক কর্তব্য বিশেষ’ (শারহুস সুন্নাহ)। তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ ততোক্ষণ তার বান্দার সাহায্য করতে থাকেন, যতোক্ষণ সেই বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে লিপ্ত থাকেন’ (সহীহ বুখারী, তিরমিযী)।
মানুষকে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা না করে বরং মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে পরমত সহিঞ্চুতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন ও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয়কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী।’ (নিসা:১)। তিনি আরো বলেছেন, অন্যের দেবতাকে গালি দিওনা’ (নিসা: ১৭১)। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করিও না’ (আনআম: ১০৮)। ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই’ (বাকারা: ১৫৬)। রাসুল সা. বলেছেন, ওহে তোমাদের প্রভূ এক, আরবের উপর অনারবের, সাদার উপর কালোর কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই, সকল মানুষ সমান’ (সহীহ বুখারী)। পবিত্র বেদে রয়েছে, ‘সত্যজ্ঞানী তিনিই, যিনি জানেন প্রভূ এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি সর্বশক্তিমান এবং সর্ব বিষয়ে একক ক্ষমতার অধিকারী। প্রাণ এবং নিষ্প্রাণের সব কিছুই তার নখদর্পণে। সকল ক্ষমতার কেন্দ্র তিনি একক অনন্য’ (অর্থবেদ: ১৩.৫.১৪-২১)। বেদে আরো বলা হয়েছে, মহা প্রভূর দৃষ্টিতে কেউই বড় নয়, কেউই ছোট নয়, সবাই সমান। প্রভূর আশির্বাদ সবারই জন্য’ (ঋগবেদ: ৫.৬০.৫)। রাসূল সা. বলেছেন, সৃষ্টি আল্লাহ পরিবার। সৃষ্টির মাঝে আমি সবচেয়ে ভালবাসি তাদের কে যারা পরিবারের সদস্যদের সাথে সর্বেত্তম ব্যবহার করে’ (হাদীসে কুদসী)। এ হাদীসে সকল সৃষ্টি অন্তর্ভূক্ত।
সমাজ জীবনে মানুষ বিভিন্নভাবে অন্যের সহযোগিতার দ্বারস্থ হয়ে থাকে। জীবন চলার পথে আর্থিক সঙ্কটে পড়ে; প্রয়োজন হয় অন্যের সহযোগিতার। সাদাকা বা দান পারস্পরিক সম্পর্ককে মজবুত করোর পাশাপাশি পরকালিন মুক্তি ও জবাবদিহীতা থেকে বাঁচার অনুপ্রেরণায় মানুষ দান করে। ইসলামে দানের ব্যাপারে প্রচুর নির্দেশনা এসেছে। রাতে দান করো, দিনে দান করো, প্রকাশ্যে দান করো, গোপনে দান করো (বাকারা: ২৭৬), স্বচ্ছল অবস্থায় দান করো এবং অসচ্ছল অবস্থায় দান করার আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক নির্দেশ আলকুরআনে এসেছে’ (ইমরান: ১৩৪) । দান করে কষ্ট ও খোঁটা দিতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে’ (বাকারা: ২৬৫)। বেদে বলা হয়েছে, নিঃশর্ত দানের জন্যে রয়েছে চমৎকার পুরুষ্কার। তারা লাভ করে আশির্বাদধন্য দীর্ঘ জীবন ও অমরত্ব’ (ঋগবেদ: ১.১২৫.৬)। বেদে আরো বলা হয়েছে, এসো প্রভূর সেবক হই। গরিব ও অভীদের দান করি’ (ঋগবেদ: ১.১৫.৮)।
পেশাগত নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন মানুষের পেশাদারিত্ব তৈরীতে ভূমিকা রাখে। মানুষকে আল্লাহ তায়ালা পরিশ্রম নির্ভর করে সৃষ্টি করেছেন মর্মে আলকুরআনে ঘোষিত হয়েছে (বালাদ: ৪০)। বেদে বলা হয়েছে, অলস মস্তিষ্ক কুচিন্তার সহজ শিকার’ (ঋগবেদ:১০.২২.৮)। বেদে আরো বলা হয়েছে, হে নেতা! হে পুরোধা! পাহাড়ের মতো দৃঢ় ও অজেও হও। কর্তব্য পালনে সবসময় অবিচল থাকো’ (যজুর্বেদ:১২.১৭)। বেদে আরো বলা হয়েছে, হে মানুষ! স্বনির্ভর হও, বাহিরের সাহায্যের দাসে পরিণত হয়োনা’ (যজুর্বেদ: ৬.১২)। আরো বলা হয়েছে, হে মানুষ! উৎসা উদ্দীপনা নিয়ে আন্তরিকতার সাথে পরিশ্যম করো। দারিদ্র ও সুস্থতা তোমার কাছ থেকে পালিয়ে যাবে’ (অথর্ববেদ: ৬.৮১.১)।
- ধম্মপদে বলা হয়েছে, গন্ধহীন পুষ্পের ন্যায় কর্মবর্জিত সুন্দর বাক্যমালাও নিষ্ফল’ (পুপ্কবগগো: ৫১)। বাইবেলে বলা হয়েছে, তুমি চাও, তোমাকে দেওয়া হবে। খোঁজ কর, পবে। দরজা খটখট কর, দরজা খুলে যাবে’ (মথি, ৭:১২)। বাইবেলে আরো বলা হয়েছে, পরিশ্রমী হাত সবসময় কর্তৃত্ব করে আর অলস পরিণত হয় পরাধীন দাসে, (হিতোপদেশ, ১২:২৪)।রাসূল সা. বলেন, ‘প্রত্যেকে দায়িত্বশীল, আর কেয়ামতের দিন প্রত্যেকের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে’ (সহীহ বুখারী)। তিনি আরো বলেন, যে প্রতারণা করে, সে আমার উম্মত নয়’ (সহীহ মুসলিম)। ধর্মীয় এ অনুশাসনসমূহ পেশাগত জীবনে কাজে লাগালে কেউই নিজ দায়িত্ব অবহেলা করতে পারে না এবং সহকর্মীদের মাঝে অর্পিত কাজ বা দায়িত্ব নিয়ে কোন মান অভিমান সৃষ্টি হতে পারে না।
সমাজ জীবনে যে কেউ যে কোন সময়ে সমস্যায় পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে একে অন্যের নিকট সহযেগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসলে সংশিষ্ট ব্যক্তির দুঃখ কষ্ট কমে, মানসিক শক্তি অর্জন হয়, এবং বিপদে মনোবল না হারিয়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় নির্দেশনা খুবই প্রনিধানযোগ্য। আল্লাহ বলেন, সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয়কর। নিশ্চয়আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা’ (মায়েদা, ৫:২)। রাসূল সা. বলেন, এক মুসলমান অপর মুসলমানের জন্যে ইমারতের মতো হওয়া উচিৎ এবং তাদের একে অপরের জন্যে এমনি দৃঢ়তা ও শক্তির উৎস হওয়া উচিৎ, যেমন ইমারতের একখানা ইট অপর ইটের জন্যে হয়ে থাকে।’ এর পর রাসূল সা. এক হাতের আঙ্গুল অন্য হাতের আঙ্গুলের মধ্যে স্থাপন করলেন’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)। বেদে বলা হয়েছে, যারা সৎ পথে কঠোর পরিশ্রম করে এবং পরস্পরকে সহযোগিতা করে তাদেরকেই প্রভূ সাহায্য করেন’ (ঋগবেদ: ৪.২৩.৭)।
জীবন চলার পথে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নানা মানুষের সাথে মিশতে হয়, চলতে হয়। চিন্তা -চেতনার পার্থক্য থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু পেছনে সত্য হলেও সমালোচনা করাকে ইসলামে গীবত হিসেবে ঘোষণা এবং তা পরিত্যাজ্য হিসেবে সূরায় হুজরাতে বর্ণিত হয়েছে। ইসলামে মিথ্যা সমালোচনাকে গর্হিত কাজ এবং বুহতান হিসেবে নিন্দনীয় চরিত্র হিসেবে চিত্রিত হয়েছে। বরং গঠনমূলক সমালোচনা করে সংশিষ্ট ব্যক্তিকে শুদ্ধ ও সঠিক পথে আনার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। রাসূল সা. বলেন, তোমরা প্রত্যেকে আপন ভাইয়ের দর্পন স্বরপ, সুতরাং কেউ যদি তার ভাইয়ের মধ্যে কোন খারাপ দেখে তো তা দূর করবে’ (সুনানে তিরমিযী)।
ক্ষুধার্ত ও নিরন্ন মানুষকে দানের ব্যাপারে আলকুরআন ও হাদীসে প্রচুর বক্তব্য এসেছে। সূরা মাউনে সামান্য সাংসারিক বস্তু যারা দেয়না তাদের তিরস্কার করা হয়েছে। রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি রোগীর পরিচর্যা করতে যায়, সে রহমতের দরিয়ায় প্রবেশ করে। আর যখন সে রোগীর কাছে বসে, তখন রহমতের মধ্যে ডুবে যায়’ (সুনানে আহমদ)।’ তিনি আরো বলেন, রোগীর পরিচর্যার পূর্ণত্ব হচ্ছে এই যে, পরিচর্যাকারী নিজের হাতকে তার হাত কিংবা কপালে রাখবে এবং সে কেমন আছে, এ কথা তাকে জিজ্ঞেস করবে’ (সুনানে আহমদ ও তিরমিযী)। বেদে বলা হয়েছে, সমাজকে ভালবাসো। ক্ষুধার্তকে অন্ন দাও। দূর্গতকে সাহয্য করো। সত্য-ন্যায়ের সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা রাখার শক্তি অর্জন করো’ (ঋগবেদ:৬.৭৫.৯)।
একে অপরের কল্যাণ কামনাই সালাম। সালাম বা সাদর সম্ভাষন ইসলামের অনবদ্য শিক্ষা। এর মর্ম হলো প্রকাশ্য ঘোষণা যে আমি আপনার কল্যাণকামী, শত্রু নই, আপনারউপর শান্তি বর্ষিত হউক। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর তোমাদেরকে যদি কেউ দোয়া করে, তাহলে তোমরাও তার জন্য দোয়া কর; তারচেয়েউত্তম দোয়া অথবা তারই মত ফিরিয়ে দোয়াবল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব বিষয়েহিসাব-নিকাশ গ্রহণকারী’ (নিসা:৮৬)। রাসূল বললেন, ‘নিজেদের মধ্যে সালামকে প্রসারিত কর’, ‘তার সঙ্গে যখনই মিলিত হবে, তাকে সালাম করবে’, ‘সালামের সূত্রপাতকারী হচ্ছে আল্লাহর রহমত থেকে অধিকতর নিকটবর্তী লোকদের অন্যতম’ (সুনানে তিরমিযী, আবু দাউদ, বুখারী)।
আন্তরিক ভালবাসার অন্যতম তাকিদ হচ্ছে নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপারের ন্যায় আপন ভাইয়ের ব্যক্তিগত ব্যাপারেও ঔৎসুক্য পোষণ করা। রাসূল সা. বলেন, ‘এক ব্যক্তি যখন অন্য ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, তখন তার কাছ থেকে তার নাম, তার পিতার নাম এবং গোত্র পরিচয় জিজ্ঞেস করে নিবে। কারণ এর দ্বারা পারস্পরিক ভালবাসার শিকড় অধিকতর মজবুত হয়’ (সুনানে তিরমিযী)। ভালবাসার অন্যতম মাধ্যম হলো- হাদীয়া বা উপঢৌকন প্রদান করা। রাসূল সা. বলেছেন, একে অপরকে হাদীয়া পাঠাও, এর দ্বারা পারস্পরিক ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে এবং পারস্পরিক দূরত্ব ও শত্রুতা বিণীন হয়ে যাবে’ (মুয়াত্তা মালিক)।
পরস্পরিক মনোমালিন্যের ক্ষেত্রে মীমাংসাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ইসলামে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মুমিনরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। অতএব, তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করবে এবং আল্লাহকে ভয়করবে-যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও’ (হুজুরাত:১০)। রাসূল সা. বলেছেন, আপন ভাইকে অসন্তুষ্টি বশত তিন দিনের বেশী ত্যাগ করা এবং উভয়ের সাক্ষাত হলে পরস্পর বিপরীত দিকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া কোন মুসলমানের পক্ষে জায়েজ নেই। এই দুই জনের মধ্যে যে ব্যক্তি সালামের সূচনা করবে, সেই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)। ধম্মপদে বলা হয়েছে, শত্রুতা দ্বারা কখনো শত্রুতা বিনাশ করা যায় না। মিত্রতা দ্বারাই শত্রুতার নিরসন হয়’ (যমকবগগো:৫)। সমাজ জীবনে পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে সকল শ্রেণি-পেশার কল্যাণ নিশ্চিত করাই প্রত্যাশিত। সম্পর্কহীনতা অপ্রত্যাশিত এবং সম্পর্ক নির্মানই সকলের ব্যক্তিগত চাহিদা। কারণ এ যুগে যোগাযোগ ও সম্পর্কের ভিত্তিতেই অধিকংশ ক্ষেত্রে সব কিছু ঘটে থাকে। অন্য দিকে সমাজের সামগ্রিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের উপরই নির্ভর করে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি প্রগতিশীল জাতি গঠনের। ধর্মীয় অনুশাসন প্রতিপালনের মাধ্যমে সমাজের দেয়ালে শান্তির ফল্গুধারা নেমে আসে। তাই বলা যায় যে, মানবিক মূল্যবোধ নির্মাণে ধর্মের ভূমিকা অনস্বিকার্য।
মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ
পিএইচডি গবেষক
ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ(আইবিএস)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
hadayetcv@gmail.com