পূবালী চত্বরকে ঘিরে যানজটের উৎস
নগর ভবন থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে-সনাক সদস্য
সবার আন্তরিকতা লাগবে- ভারপ্রাপ্ত মেয়র
আবু সুফিয়ান রাসেল।।
পূবালী চত্বরকে ঘিরে কুমিল্লা নগরী। যনজটের এ নগরীর অলি-গলিতেও ধীরগতি। যার উৎসপত্তিস্থল নগরীর জিরো পয়েন্ট পূবালী চত্বর। কুমিল্লার বাসিন্দারা মনে করেন, সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এ চত্বরে পার্কিং না করলে যানজট কিছুটা লাঘব হবে। মেয়র জানিয়েছেন, সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। চালক, যাত্রী ও নাগরিক সবার আন্তরিকতা লাগবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর। পূবালী চত্বর থেকে চতুমুর্খী যান চলাচল। চত্বর থেকে নজরুল এভিনিউ সরু সড়কেও রোড ডিভাইডার। প্রবেশ পথে যাত্রী উঠানামার জন্য অপেক্ষা করে অর্ধশত ব্যাটারি চালিত রিকশা। অপর দিকে বাদুরতলা পুলিশ লাইন সড়কের প্রবেশ পথেও অপেক্ষারত সিএনজি চালিত অটোরিকশা। চত্বর থেকে লিবার্টি মোড় পর্যন্ত যানবাহন না থাকায় এ রোডে যানজট কম হয়। তবে লাকসাম রোডের রামঘাটে কোটবাড়ি রোডের সিএনজি স্ট্যান্ডের কারণে এ স্থানে যান চলাচলের ধীরগতির চিত্র প্রতিদিনের। মূল চত্বরে পদুয়ার বাজারগামী সিএনজি অপেক্ষা করার কারণে নগরীজুড়ে যানজট তৈরি হয়।
নগরীর ২০নং ওয়ার্ডে দিশাবন্দ গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক আবদুল জলিল বলেন, সড়কের প্রতিটা রোডে যানজট। আমরা ট্যাক্স, জিবি সব দেই। কিন্তু উপকারটা পাই না। রাস্তায় গাড়ি রাখলে পুলিশ মামলা দেয়। গাড়ি রাখবো কোথায় আপনারা বলে দেন?
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সদস্য আইরিন মুক্তা অধিকারী বলেন, এটি শহরের মৌলিক সমস্যা। যানজটের বিষয়টি দিনদিন বাড়ছে। তাই নগর ভবন থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোথায় পার্কিং হবে। কারণ মানুষের সময়ের দাম আছে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়াউল চৌধুরী টিপু বলেন, রং পার্কিং করার কারণে গত একবছরে ২৫ হাজার মামলা হয়েছে। প্রায় চারকোটি টাকা আদায় হয়েছে। কোন স্থায়ী সমাধান হয়নি। পূবালী চত্বরের গোল অংশটি অনেক বড়। এটি সড়কের অর্ধেক দখল করে আছে। এটি ছোট করতে হবে। তিনজন পুলিশ দিয়ে কান্দিরপাড় সামলানো যাবে না, যদি চালক, যাত্রীরা হেল্প না করে। সাত সিটের অটো কান্দিরপাড় প্রবেশ বন্ধ করেছি। রোগী থাকলে সেটা মানবিক কারণে ছাড় দিতে হয়।
কুমিল্লা সিটি করপোরোশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হাবিবুর আল-আমিন সাদী বলেন, সড়ক প্রশ্বস্ত করা হয়েছে। চালক, যাত্রী ও নাগরিক সবার আন্তরিকতা লাগবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে কাজ করছি। দিনদিন গাড়ি বাড়ে, মানুষ বাড়ে সড়ক সংখ্যা বাড়ে না। নতুন করে পার্কিং করার কোন স্থানও নেই। নতুন মেয়র যোগদানের পর বিষয়টির হাল ধরবেন।