প্রিপেইড মিটার আছে, তবু পুরাতন মিটারের বিল!
হাসিবুল ইসলাম সজীব।।
গ্রাহক সেবাকে স্মার্ট করতে পুরাতন মিটারের পরিবর্তন লাগানো হচ্ছে প্রিপেইড মিটার। তবে প্রিপেইড মিটারের বিলের সাথে দিতে হচ্ছে পুরাতন মিটারের বিল। রির্চাজে সংখ্যা ভুল হলে মিটার হয়ে যায় লক। অফিসে গিয়ে লক খুলে আনতে হয়। প্রিপেইড মিটারের প্রতি সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কোন কমতি নেই।
জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের বিএসটি থেকে অনুমোদনকৃত প্রিপেইড মিটার লাগানোর কার্যক্রম চলছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র -০৩ এর আতওধীন এলাকায় মোট ৪১ হাজার প্রিপেইড মিটার লাগানো হবে। তার মধ্যে লাগানো হয়েছে ২৮ হাজার এবং বাকি ১৩ হাজার মিটার লাগানো কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কুমিল্লা নগরীর স্থানীয় কয়েকজন সাপ্তাহিক আমোদ জানান, আমরা পুরাতন মিটারের মাস শেষে বিল পেমেন্ট করতাম। সরকার এখন প্রিপেইড মিটার লাগিয়েছে। এতে অনেক লোক বুঝে না কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। আমরা এখনো জানি না প্রতি ইউনিট কত টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। আগে বিল থেকে এখন সাত-আট শো টাকা প্রতি মাসে বেশি দিতে হচ্ছে। কি কারণে এতো বিল আসে তাও জানি না। অন্যদিকে প্রতি মাসে পুরাতন মিটারের বিলও আসে। আবার নিজে নিজে রিচার্জ করতে গেলে সংখ্যা উল্টো পাল্টা দিলে মিটার লক হয়ে যায়। বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে লক খুলে তারপর মিটার চালু করতে হয়। আমাদের পুরাতন মিটার মার্চ মাসে খুলে নতুন প্রিপেইড মিটার লাগনো হয়েছে। তাহলে প্রতি মাসে কিভাবে পুরাতন মিটারের বিল আসবে।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র -০৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী পারভেজ আহমেদ সাপ্তাহিক আমোদকে জানান, প্রিপেইড মিটার লাগানোর সময় আমাদের লোকেরা গ্রাহকদের বুঝি দেয় কি ভাবে মিটারটি ব্যবহার করতে হয়। মিটারের বিল বেশি আসার কোন সুযোগ নাই, কারণ প্রিপেইড মিটার গুলো বাংলাদেশ সরকারের বিএসটিআই থেকে অনুমোদিত। পুরাতন মিটারের রিজার্ভ যে ইউনিট জমা ছিল সেগুলো আমরা পরবর্তী মাসে বিল দিয়েছি। তারপরও কারো বিল সংক্রান্ত জটিলতা থাকলে অফিসে যোগাযোগ করলে আমরা তা সমাধান করে দিবো।