আমাদেরও একজন বিষ্ণু ছিলো

।। প্রদীপ সিংহ রায় মুকুট ।।

inside post

মধ্য ষাটের দশক থেকে নব্বই-এর দশক পর্যন্ত এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মতো কুমিল্লার সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে দেদীপ্যমান ছিলেন বিষ্ণুপদ সিনহা। আরো অনেক ঘুর্ণায়মান জ্যোতিষ্কের মতো। তবে তারা আরো বড় কোন জ্যোতিষ্ককে ঘিরে আবর্তিত হননি। নিজস্ব লব্ধ জ্ঞান, শিক্ষা, কৌশল ও মধুর ব্যবহার ও দৃঢ় পদক্ষেপ তাদের পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ করেছিলো। কুমিল্লার আকাশ বাতাস সর্বোপরি পরিম-লকে তারা ঔজ্জ্বল্যমন্ডিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অতি অল্প সময়ে।
না তারা কোন দলপতি বা লিডারের ছত্রছায়ায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেননি। কোন জোর জবরদস্তির আশ্রয়ও তাদের নিতে হয়নি। সুন্দর আচার ব্যবহার, ভদ্রজনোচিত চালচলন ও মানবীয় গুণসম্পন্ন ছিলেন বলেই তারা জনপ্রিয় বা সর্বমহলে সমাদৃত হয়েছিলেন।
শুরু করেছিলাম আমার বাল্যবন্ধু ও ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট হাই স্কুলের সহপাঠী দক্ষিণ ঠাকুরপাড়ার দীর্ঘদিনের নিবাসী সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বিষ্ণুপদ সিনহা সম্বন্ধে। সঠিক মনে নেই, সম্ভবত: ১৯৬২ সন থেকে ১৯৬৬ সন পর্যন্ত এসএসসি বা সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দেয়া পর্যন্ত সময়ে রাণীরদিঘিরপাড়ে অবস্থিত আরেক শতাব্দী প্রাচীন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে আমি ও বিষ্ণু অধ্যয়ন করেছি। সহপাঠী হিসেবে।
বিষ্ণু অবশ্য প্রাথমিক শিক্ষালাভ করেছিলো যথাক্রমে ঠাকুরপাড়ার রামকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও চট্টগ্রামের প্রবর্তক সংঘ পরিচালিত স্কুুলে। পরবর্তীতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট হাই স্কুলে ও আমার সহপাঠী হয়। তারপর, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে।
ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট হাই স্কুলে অধ্যয়নকালে, বিশেষ করে গরমকালে, যখন মর্নিং শিফ্টে ক্লাশ হতো তখন ক্লাশের পর কতদিন যে বিষ্ণুর সঙ্গে স্কুলের পিছনের সরু রাস্তা, যেটা ভিক্টোরিয়া কলেজের ডাকসাইটে শরীর চর্চা (স্বাস্থ্য) বিষয়ক অধ্যাপক অমূল্য ব্যানার্জির বাড়ির সামনে দিয়ে গিয়ে লাকসাম রোডে এসে মিশেছে, সেটা ধরে ওদের ঠাকুরপাড়ার বাসায় গিয়েছি। শুধুমাত্র বিষ্ণুর মা-জননী শ্রদ্ধেয়া মণিকা সিনহা মাসীমার কাছ থেকে তিলের নাড়– পাব বলে। মাসীমা সস্নেহে অতি আদরের সঙ্গে মুড়ি- মুড়কি, নাড়–-সন্দেষ ইত্যাদি মুখরোচক খাবার যখন যেটা হাতের কাছে থাকতো তাই দিয়ে আমায় আপ্যায়ন করেছেন। সে সব সোনাঝরা দিনগুলো প্রকটভাবে মনে পড়ছে আজ।
মাসীমা আবার আমার নেতাজী সুভাষপন্থী মা বিজয়া সিংহ রায়ের অন্যতম বান্ধবী ছিলেন। দুই বান্ধবী আবার যশস্বী অধ্যাপিকা সুধা সেন প্রবর্তিত মা সারদা দেবী মহিলা সমিতির সদস্যা ছিলেন। তারা প্রতি সপ্তাহে প্রার্থনা সভায় মিলিত হতেন।
শহরের অভিজাত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গান্ধীবাদী নেতা মনোহরপুরের প্রসিদ্ধ বিপনী নিউ বেঙ্গল স্টোর-এর স্বত্ত্বাধিকারী ব্রজেন্দ্রলাল সিনহা ও গৃহিনী মাসীমা মণিকা সিনহার তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবচাইতে বড়জন হলো সুহৃদ বিষ্ণু। আটই মে, ১৯৪৯ সনে বিষ্ণুুর জন্ম। দুই বোনের বড়জন শিবাণী ১৯৭৫ সনের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে কোলকাতায় পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়। ছোট বোনটি শিখা কুমিল্লার আর এক স্টাইলিস্ট ক্রিকেটার এই ঐতিহ্যবাহী শহরের প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব খ্যাতনামা ব্যবসায়ী বক্কু সিংহ রায়ের ছেলে বুদ্ধদেব বা আমাদের প্রিয় বুদ্ধুদাকে বিয়ে করে এখানেই কুমিল্লা শহরেই দিনাতিপাত করছেন। কিন্তু কয়েক বছর আগে বুদ্ধুদা না ফেরার দেশে গমন করেন।
বিষ্ণুর গান্ধীবাদী বাবা ব্রজেন্দ্রলাল সিনহা তাঁর মামা শহরের মনোহরপুরের প্রসিদ্ধ বিপনী শ্রীভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী ভুবনেশ^র মজুমদার প্রায়শ: প্রাতভ্রমণে কুমিল্লা এয়ারপোর্টের দিকে যেতেন। বিপুলদেহের অধিকারী দুই গান্ধীবাদী নেতা খদ্দরের ধুতি ও পাঞ্জাবী পরে বের হতেন। রাস্তার দু’পাশের পথচারী জনগণ নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাদের দেখতেন। এটা এক্কেবারেই অপ্রাসঙ্গিক হবেনা বলে এখানে স্মৃতিচারণ করলাম।
বিষ্ণু ছাত্র ইউনিয়ন করতো ছাত্রাবস্থায়। ১৯৭৮ সনের ১৬ জানুয়ারি বিষ্ণু বিয়ে করে নীতিগত ও আদর্শগত সহমত ও মিলের এক পরিবারে। আর ও বিয়ে করে মৌলভীবাজার নিবাসী ছাত্র ইউনিয়নের ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর অন্যতম সক্রিয় সদস্য লাভলীকে। বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে যে সর্বধর্মীয় প্রার্থনা সভা ও মাঙ্গলিক দলীয় প্রভাতী সঙ্গীতানুষ্ঠান হতো কুমিল্লায় ফি বছর আমাদের সঙ্গে লাভলীও অংশগ্রহণ করেছে। সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে। বহু বছর। লাকসাম রোডে কুমিল্লা সদর হাসপাতাল লাগোয়া অভয় আশ্রম কর্তৃপক্ষের আয়োজনে রবীন্দ্রসঙ্গীত বিশারদ পরিমল দত্তের নেতৃত্বে ঐ প্রভাতী অনুষ্ঠান হতো। সবধর্মের স্থানীয় পন্ডিতগণ সে অনুষ্ঠানে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করতেন। তাছাড়া, লাভলী ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, ন্যাপ, কমউিনিস্ট পার্র্টি, রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ ইত্যাদি সংগঠন আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নিয়মিত শিল্পী ছিলো ।
লাভলী বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে কুমিল্লার শহরতলীর চৌয়ারা কলেজে বহু বছর অধ্যাপনা করে কয়বছর আগে অবসরে গিয়েছেন। বিষ্ণুর ছোটভাই শক্তিকাম সিনহা চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে চারু ও কারু শিল্পী হিসেবে কুমিল্লার বিভিন্ন চারু ও কারু শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, প্রতিথযশা শিল্পী মোহাম্মদ আলী প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা আর্ট কলেজ, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, কচিকাঁচার মেলা ইত্যাদি। যদ্দুর জেনেছি, অপর ভাই মুক্তিকাম সিনহা বিদেশে বর্তমানে অবস্থান করছেন।
বিষ্ণু ও লাভলী দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে অমিত সিনহা এমবিবিএস পাশ করে ডাক্তারী পেশায় নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত না করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঢাকায় বর্তমানে কর্মরত রয়েছে। তবে, তার সংস্কৃতিসেবী বাবার মতো নাটক ও টিভি সিরিয়ালে সময়েসময়ে অভিনয় করে থাকে সে। অপরদিকে মেয়ে অনিন্দিতা বিয়ের পর স্বামীসহ দিল্লিতে বসবাস করছে। যেখানে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য জীবনাবসানের এক মাস আগেও বিষ্ণু গিয়েছিলো।
কিন্তু শেষ রক্ষা হলোনা। আমরা গত ২০ মে সকালে হারালাম আমাদের এক উষ্ণ, প্রকৃতঅর্থেই ভালোমানুষ ও বড়মনের ব্যক্তিত্ব বিষ্ণুকে।
ছয়ফুট উচ্চতার এমন স্ট্রং, স্টাউট বা শক্তপোক্ত এবং সুন্দর দেহাবয়বের অধিকারী একজন খ্যাতিমান অভিনেতা ও খেলোয়াড় এতো সহজে যে নিয়তির কাছে আত্মসমর্পণ করবে তা ভাবা যায়না, চিন্তাও করা যায়নি। এইতো কিছুদিন আগেও ওর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। যদিও ছোট বোনটি শিখা জানিয়েছিলো তার দাদা ভালো নেই। তবুও মনে হচ্ছিলো দিল্লি থেকে মেডিকেল চেকআপ করিয়ে অতি সম্প্রতি বিষ্ণু দেশে ফিরেছে। তাই এ যাত্রা তার আয়ু আরো দীর্ঘায়িত হবে। কিন্তু হা-হতোস্মি, তা হয়নি। আমাদের কাঁদিয়ে, হতাশার সাগরে ডুবিয়ে এবং হতবাক করে দিয়ে বিষ্ণু ঊর্ধ্বলোকে যাত্রা করলো।
ক্রিকেটীয় ব্যকরণে যাকে অলরাউন্ডার বলা হয় বিষ্ণু ছিলো তাই-ই। একাধারে দোকানে মেসোমশাই ব্রজেন্দ্রলাল সিনহাকে সঙ্গ দিয়েছে, খেলার মাঠে দর্শক মাতিয়েছে, মঞ্চে নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছে আবার রাজনীতি ও সামাজিক এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জনকল্যাণমূলক উন্নয়ন কাজে নিজেকে আত্মোৎসর্গ করেছে।
বিষ্ণু ছিল জেলা ক্রিকেট দলের নিয়মিত সদস্য। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ক্রিকেট টিমের কোচ। তাছাড়া, জেলা টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় কখনো খেলোয়াড় কখনো সংগঠক । ছিলো ঠাকুরপাড়া স্পুটনিক ক্লাবের সভাপতি। কুমিল্লা জেলা বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি ।
মিডল অর্ডার ব্যাটার ও মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে রেন্জার্স ও পরবর্তীতে ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলেছে ও। দাপটে অনেক বছর। সঙ্গে সঙ্গে চলেছে যাত্রিক নাট্য গোষ্ঠীর নতুন নাটক মঞ্চায়নে অংশগ্রহণ। উদীচী শিল্পী গোষ্টী ও সংযোগ নাট্য সংস্থার সঙ্গেও বিষ্ণু সম্পৃক্ত ছিলো। ৮০-র দশকে অংশ নিয়েছিলো থিয়েটার আন্দোলনে।


সময়ে সময়ে নানা সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে পদচারণাও চলেছে সমান তালে। সেই ১৯৬৫ সাল থেকেই বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে বিষ্ণু নির্ধিধায় অংশ নেয় অকুতোভয় সৈনিকের মতো। পাকিস্তানি মিলিটারি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ৬৬ থেকে ৬৯, ৭০ এবং ৭১-এর জাতীয় আন্দোলন সমূহতে তার দৃশ্যমান অংশগ্রহণ অগ্রসেনানীর ভূমিকায় সেসময় প্রশংসিত হয়েছিলো। ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থানে সক্রিয়ভাবে সম্মুখসারির একজন নেতা হিসেবে অংশ নিয়ে কারাবরণ করতে হয় তাকে। পরবর্তীতে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর সেনানী হিসেবে দখলদার পাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে সাহসী ও ত্যেজোদীপ্ত ভূমিকা রাখে সে। আশির দশকে সংগঠিত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও স্থানীয় পর্যায়ে আমরা তাকে উল্লোখযোগ্য ভ’মিকায় দেখতে পাই।
কুমিল্লা-৬ সংসদীয় আসন থেকে সেদিনকার বিপ্লবী আওয়ামীলীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে প্রথমবারের মতো জয়যুক্ত করাবার জন্য যে একদল পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ যুবক ভোটের প্রচারাভিযানে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন তাদের অন্যতম ছিলেন বিষ্ণুপদ সিনহা।
জীবনের শেষদিনগুলোতে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি বিষ্ণুকে নানা ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিতে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ঈশ^র পাঠশালা, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, শ্রীরাম ঠাকুরের আশ্রম রাসস্থলী, কাত্যায়নী বাড়ি ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
একটা আশঙ্কার কথা না বলতে পারলে আমার কথাকটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। যেভাবে স্মিতভাষী প্রকৃতঅর্থেই ভালো মানুষগুলো আমাদের মধ্য থেকে পরপারে পাড়ি জমাচ্ছেন তাতে করে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় কথা বলার মতো মানুষও পাওয়া যাবেনা আমাদের সমাজে। কি মঞ্চে, কি খেলার মাঠে কি রাজনীতি ও সামাজিক আর ধর্মীয় সমাবেশে আমরা বিষ্ণুর মতো যোগ্য, সিংহ হৃদয় ভালো মানুষকে কঠিনভাবে মিস করবো আজীবন।
সবশেষে পরমপিতার কাছে করজোরে প্রার্থনা জানাই, তিনি যেন আমাদের পরমপ্রিয় বন্ধু বিষ্ণুর বিদেহী আত্মার শান্তি, স্বস্তি, সদগতি ও মঙ্গল বিধান করেন।
সুধীমন্ডলী! আপনারাও তার আত্মার কল্যাণের জন্য স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রার্থনা করবেন, এই সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি।
(তথ্যপ্রাপ্তি স্বীকার: চারু ও কারুশিল্পী শক্তিকাম সিনহা এবং সাংবাদিক তপন সেনগুপ্ত।)
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুমিল্লা প্রেস ক্লাব।
মোবাইল ফোন: ০১৭৩১-৫১২৭২২

আরো পড়ুন