বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ বিরানভূমি হবে -আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী এড.আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি আইন মানে না, সংসদ মানে না। তারা ক্ষমতায় গেলে দেশ বিরানভূমি হয়ে যাবে। তাদের কোনো কথায় আপনারা কান দেবেন না। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। গতকাল শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেছেন, উনি (খালেদা জিয়া) ২ বছর কারাগারে ছিলেন। যেটা কোনদিন কখনও দেখা যায়নি যে নিরাপরাধ মহিলাকে কারাগারে নিয়ে গেছেন। সেই সেবার পাওয়ার পরও জননেত্রী শেখ হাসিনা এতই মহান যে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার ঠিক সেই সময়ে আইনী পদদ্ধিতে তার সাজা স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দিয়েছিলেন। সেই সময় দুইটি কথা ছিল যে, উনি ঢাকায় চিকিৎসা নিবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না। তিন বার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। তারপরও বলে তার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হবে। আপনারা বলেন এটা কি যুক্তি কথা হল। তার পর উনারা বলেন আন্দোলন করবেন। আন্দোলন ফুসফাস।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ (অব.) মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাহবুবুল আলম খোকন, পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এড. রাশেদুল কাউছার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানি, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. সেলিম ভূইয়া, মো. মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
মন্ত্রী আরও বলেন, যখন ১৫তম সংশোধনী করা হলো তখন সংসদ বললো আমরা আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া হলো। সর্বোচ্চ আদালত রায়ে বলে দেয়,সংসদ যদি চায় তাহলে তত্বাবধায়ক সরকার আরও দুই বার রাখা যেতে পারে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। যখন সংসদে এটা গেলে তখন সংসদ বলল আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখতে চাই না। উনারা (বিএনপি) আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। বিএনপি জানে জনগণ ভোট দিয়ে তাদেরকে কোন দিন ক্ষমতায় আনবে না সেজন্য জন্য তারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। যারা পরাজিত শক্তি যাদেরকে খুনি জিয়াউর রহমান পূর্ণবাসন করেছিলেন তারা কিন্ত বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে ও বাংলাদেশের সম্মান হচ্ছে সেটা তারা পছন্দ করে না। পরাজিত শক্তি চেয়েছিল সারা বিশ্বে বাংলাদেশ কে একটা ভিক্ষুক রাষ্ট্রে পরিণত করতে। পরাজিত শক্তি চেয়েছিল বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। তখন তারা বলতে পারত বঙ্গবন্ধ যে সংগ্রাম করেছিলেন সেই সংগ্রামের কোন অর্থ নাই। এইটা বলার জন্য সচেস্ট হয়ে গিয়েছিল বিএনপি জামায়ত গোষ্ঠী। এই সংগ্রামের কি দরকার ছিল। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না।
তারা লম্বালম্বা বক্তৃতা দেয় তারপর আন্দোলনের ডাক দেয়। কিন্ত মানুষ তো আন্দোলনে যায় না। প্রথমে তারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করার দায়ে বাংলাদেশের নিম্ন আদালত ৫ বছর সাজা দিয়েছে এটা বাড়িয়ে হাইকোর্ট ১০ বছরের সাজা দিয়েছে। আরেক মামলায় এতিমের টাকা চুরির কারণে সাজা দিছে ৭বছর। এই মামলা হয়েছিল তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ওই সরকালের প্রধান ছিল ফখরুদ্দিন আহমদ ছিল খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান। সেই সময় সেনাপ্রধান মইনুদ্দিন সাহেব ছিল খালেদা জিয়ার নিয়োগ প্রাপ্ত সেনা প্রধান। ওনারা মামলা দিছেন এতিমের টাকার চুরির। আদালত সাজা দিছে। আওয়ামীলীগের কি করার আছে। মন্ত্রী আরও বলেন, উনারা বলেন নির্বাচন কমিশনের জন্য আইন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন আইন না করলে আন্দোলন করবে। আমি বললাম এত তারাতারি এই আইন পাস করা সম্ভব না। করোনা বাড়তেছে কখন পার্লামেন্ট বসবে আমরা জানি না। তারা বলেন পার্লামেন্ট বাদ দিয়ে প্রেসিডেন্টকে দিয়ে আইন করে নিতে হবে। পরবর্র্তীতে আমি প্রেসিডেন্টের আদেশ প্রাপ্ত হয়ে সংসদে আইনটি নিয়ে যায়। সংসদে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যসহ সকলের আলোচনা নিয়েও ২২টি সংশোধী নিয়ে সংসদে বিলটি করি। তখন তারা বলে না না এই আইনটা হবে না। তাহলে কি লাগবে তত্ত্বাবধায়ক লাগবে।