মুক্তিপণের জন্য ভাইদের হাতে শিশু হত্যা

 

inside post

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।

দাবিকৃত চার লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা অবশেষে গলা টিপে ফাতেহা নামের সাত বছরের এক শিশু কন্যাকে হত্যা করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপহরণকারী দুই ঘাতককে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে। দুই আসামি শিশুর চাচাতো ও ফুপাতো ভাই। 

এদিকে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে সকালে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মা রুমা আক্তার বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম ও বাঞ্ছারামপুরের ওসি নূরে আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে ফিরে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুটকীকান্দি গ্রামের প্রবাস ফেরত বাছেদ মিয়ার শিশুকন্যা স্থানীয় প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেহা (৭) গত ৩০ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।  বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর করেও ফাতেহার কোন সন্ধান পাচ্ছিলেন না তার পরিবার। এরই মধ্যে একদিন পর গত ১ অক্টোবর অপহরণকারীরা ফাতেহার বাবাকে ফোন করে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায়।  বাছেদ মিয়ার  কাছে মেয়ের মুক্তিপণ বাবদ চার লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা।

বাছেদ মিয়া পুরো বিষয়টি বাছারামপুরের ওসি নূরে আলমকে অবগত করেন।  পুলিশ অপহরণকারীর ফোন কলের নম্বর ধরে বিষয়টির তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই অপরহণকারী দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে নাজিম (১৯) ও শুঁটকিকান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন (২১) নিহত শিশু ফাতেহার ফুফাতো ও চাচাতো ভাইকে গতকাল সোমবার (২ অক্টোবর) আটক করে পুলিশ। অপহরণকারীদের তথ্যের আলোকে পাশের ডোবার পানিতে লুকিয়ে রাখা কচুরি পানার নিচ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখওয়াত হোসেন  আজ সকালে মুঠোফোনে বলেন,’‘ফোন কলের রেশ ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ দুই ঘাতককে আটক করে। ঘাতকদের ফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত চ্যাটিং (বার্তা আদান-প্রদান) পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন