মুরাদনগরে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের জায়গা দখলের অভিযোগ
আমেদ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় সাবেক সেনাসদস্য ছোট ভাই সফিকুল ইসলামের জায়গা দখল করে তালা ঝুলানোর অভিযোগ উঠেছে অপর এক বড় ভাই রফিকুল ইসলাম ও ভাতিজা শাহিনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের দখলের অভিযোগ করেন সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার বোনেরা তাদের ১৫ শতকের জায়গাটি ১৫ বছর আগে বিক্রি করেন। ক্রয়ের পর আমি জায়গাটিতে ঘর নির্মাণ করি। পরে সেটি আট বছর ধরে অটোরিকশার গ্যারেজ করে ভাড়া দেই। গত ৮ আগস্ট আমার মেজো ভাই রফিকুল ইসলাম প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে গ্যারেজে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এছাড়া বাড়ির সাত শতক, গাজির হাট বাজারের পাশের সাত শতক জায়গা দখল করে নেয়। এসময় কারণ জানতে চাইলে ভাই রফিকুল ইসলাম, বড় ভাই মৃত ফরিদ আহমেদের ছেলে শাহিনসহ আরও কয়েকজন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এই জায়গার সকল কাগজপত্র আমার নামে রয়েছে। দখলের বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আমি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করি। আমার লাইসেন্স করা বন্দুক আছে। তারা হয়রানির উদ্দেশ্যে পাল্টা আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দিয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, মৃত ফরিদ আহমেদের ছেলে শাহিন দেশের প্রভাবশালী লোকদের সাথে তার ছবি তুলে মানুষকে দেখায়। তা দেখিয়ে সে ভয় দেখায়। এতে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেনা। এবার নিজের কাকার জমির দিকে চোখ দিয়েছে।
শফিকুল ইসলামের গ্যারেজের ভাড়াটে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমি এই গ্রামের বাসিন্দা। গত ৮ বছর আমি এই গ্যারেজে ভাড়া নিয়ে চালাই। কখনই শুনিনি এটা অন্য কারও জায়গা। হঠাৎ এসে তালা মেরে দেয় রফিক ও তার ভাতিজা।
এই ঘটনার বিষয়ে সফিকুল ইসলামের ছোট বোনের বড় ছেলে শামীম আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মা আর খালা ছোট মামা শফিকের কাছে জমি বিক্রি করেছেন। অথচ এখন মেজো মামা, বড় মামার ছেলে ও গ্রামের কয়েকজন লোক তার জায়গা দখলের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহিন মিয়া বলেন, আমার বাবারা তিন ভাই। ওই জায়গায় সফিক কাকার মতো আমার বাবা ও মেজো চাচাও মালিক। তাই আমরা আমাদের জায়গায় তালা দিয়েছি। সে বলছে আমার ফুফুদের কাছ থেকে নিয়েছে। ফুফুরা তাকে কোন জায়গা লিখে দেয়নি।
সফিকের মেজো ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, এই জায়গার মালিক আমার বড় ভাই। সফিককে দেখাশোনা করতে দিয়েছে আমার বড় ভাবি। পরে সে নিজের বলে জায়গাটা দখল করে নিয়েছে। তাই আমরা দখল মুক্ত করতে তালা দিয়েছি।
এই বিষয়ে আকবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিমুল বাবুল শিমুর বক্তব্য জানতে একাধিক কল ও মেসেজ দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, থানায় ওই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা দুপক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেব।