শিক্ষার্থীরা উপহার পেল মাটির ব্যাংক !
মাহফুজ নান্টু।
সংবর্ধনায় উপহার হিসেবে শিক্ষার্থীরা পেল মাটির ব্যাংক, কয়েন ও প্রাইজবন্ড। মিতব্যয়ি হওয়া ও সঞ্চয়ের উৎসাহ দিতে ২৮ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে এমন উপহার তুলে দিয়েছে আলোকিত বজ্রপুর নামে নগরীর একটি সংগঠন। ব্যতিক্রম এই উপহার পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর ইউসুফ হাইস্কুল মিলনায়তনে ইফতার ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপহার তুলে দেন আলোকিত বজ্রপুর সংগঠনের সদস্যরা।
গবেষক ও লেখক আহসানুল কবীর বলেন, প্রতি বছরই আলোকিত বজ্রপুর সংগঠনের সদস্যরা রমজানে এলাকার কৃতি শিক্ষার্থী গুনিজনদের সংবর্ধনা দিয়ে থাকি। এ বছরও আমরা ২৮ জন শিক্ষার্থী যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কৃর্তিতের সাথে উর্ত্তীণ হয়েছে তাদের হাতে মাটির ব্যাংক তুলে দিয়েছি। পাশাপাশি প্রাইজবন্ড উপহার দিয়েছি। ওই মাটির ব্যাংকে কিছু পয়সাও দিয়েছি। আমরা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়েছি। তারা যেন ভালোভাবে লেখাপড়ার পাশাপাশি মিতব্যয়ী এবং সঞ্চয়ের মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠে।
ব্যতিক্রম এমন আয়োজনে নিজেদের অনভূতি প্রকাশ করেছেন চলতি বছর এসএসসি ও এইসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া অংকিতা পাল, কাজী ফিহিমা আইনান, পাম্পী বনিক ও বিশাল দাশ । ওই শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের হাতে মাটির ব্যাংক ও প্রাইজবন্ড তুলে দেয়ার সময় সবাই খুব উৎসাহ দেয়। আরো ভালো করার জন্য। পাশাপাশি মিতব্যয়ি হওয়া ও সঞ্চয় করার জন্য। যেন আমাদের সঞ্চয়ের অর্থ দিয়ে আমরা আমাদের ভবিষ্যতের উচ্চতর শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে পারি।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রফিকুল ইসলাম সোহেল ও হাসিবুল হাসান সুমন বলেন, শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার পাশাপাশি তিনজন কাউন্সিলরকে আমরা সংবর্ধনা দিয়েছি। তারা হলেন নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হাবিবুর আল আমিন সাদি, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউল হক মুন্না ও কাউন্সিলর রোমেনা আক্তার সাথী।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা অমল পাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম, আলোকিত বজ্রপুরের সমন্বয়ক মাসুদ রানা চৌধুরী, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বদরুল হুদা জেনু, নাট্যকার শাহাজাহান চৌধুরী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ত্রিদিপ কুমার কর প্রমূখ।