শেষ হলো তিননদী পরিষদের ২১ দিনব্যাপী একুশের অনুষ্ঠান

আমোদ প্রতিনিধি।।

inside post

মেঘনা, তিতাস ও গোমতী নদী (তিননদী) পাড়ের সংস্কৃতি চর্চাকে বিকশিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৩ সালে গঠিত হয়েছিলো সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘তিন নদী পরিষদ’। গত ৩৮ বছর ধরে কুমিল্লার নগর উদ্যানের জামতলায় নতুন প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস শুনিয়ে আসছে সংগঠনটি।

মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ১৯৮৪ সালে তিন নদী পরিষদ সর্বপ্রথম ২১ দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো। সে সময় কুমিল্লা পৌর পার্কের জাম গাছ তলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ওই অনুষ্ঠানটির। বর্তমানে ওই স্থানটিই কুমিল্লা নগর উদ্যানের জামতলা নামে পরিচিত। প্রতি বছরের মতো এবারও জামতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ২১দিনব্যাপী একুশের অনুষ্ঠান। রোববার মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে এ বছরের অনুষ্ঠানমালা।

 

সমাপনী দিনে তিন নদী পরিষদের পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপক মো.রুহুল আমিন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,  শফিকুর রহমান, সাংবাদিক আশোক বড়ুয়া, নওয়াব ফয়জুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুন নাহার, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।

বক্তব্যে অধ্যাপক মো.রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, একটানা ৩৮ বছর ধরে নতুন প্রজন্মসহ সকলের কাছে স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন এবং বাংলার ইতিহাসকে ছড়িয়ে দিচ্ছে তিন নদী পরিষদ। ভাষা আন্দোলন নিয়ে কুমিল্লার অনেক গৌরবের ইতিহাস রয়েছে। এই সংগঠনটি ভাষা আন্দোলনের গৌরবের সেই ইতিহাসগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে বছরের পর বছর ধরে পৌঁছে দিচ্ছে। এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ। বাংলাদেশে আর কোথাও এ ধরণের একটি অনুষ্ঠান হয় বলে আমার জানা নেই। এটা একেবারেই ব্যতিক্রম।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা মহান একুশকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর ২১ দিনব্যাপী ভাষার অনুষ্ঠান করছি। আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে মা, মাটি, দেশ, বাংলা ভাষা এবং একুশের আবেদনকে পৌঁছে দিতে চাই। কারও কাছে আমাদের কোন প্রত্যাশা নেই। শুধু একটাই চাওয়া আছে আগামী প্রজন্মের কাছে, আমাদের পর তারা যেন এই ধারা অব্যাহত রাখে।

আরো পড়ুন