সবুজ উৎসবের সাত বছর
মহিউদ্দিন মোল্লা।।
বাগান, ছাদকৃষি ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক অনলাইন ভিত্তিক কুমিল্লার প্রথম সংগঠন কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটি। এর সদস্য সংখ্যা ২৭হাজারের বেশি। তারা নিজেদের মধ্যে বিনামূল্যে কাটিং, বীজ, চারা বিনিময় করেন। শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর একটি মিলনায়তনে সংগঠনের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে মিলনমেলা ও গ্রিন শেয়ারিং অনুষ্ঠিত হয়। সদস্যদের মাঝে তিন সহস্রাধিক কাটিং, বীজ ও চারা উপহার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে গিয়ে শোনা যায়, বাগানিদের সব সবুজের গল্প। আনন্দের গল্প। কেউ ছাদ বাগান করেছেন। কেউ বারান্দায় ক্যাকটাস ঝুলিয়ে দিয়েছেন। কেউ ফুলে ফুলে রঙিন করেছেন তার আঙিনা। তারা গাছের সাতরঙে আরো বেশি রাঙাতে চান প্রকৃতিকে।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী,পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোসাম্মত শওকত আরা কলি।
বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, গাছ না থাকলে পশু,পাখি,নদী থাকবে না। বনের মাঝ থেকে নদী সৃষ্টি হয়। সাঙ্গু ও গোমতীসহ বিভিন্ন নদীর পানি কমে যাওয়ার কারণ তার উৎপত্তিস্থল পাহাড়ে গাছ কমে যাচ্ছে। কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির সবুজ রক্ষার আন্দোলনকে স্বাগত জানাই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাম্মত শওকত আরা কলি বলেন, পৃথিবীটাকে যদি একটি গ্রাম ধরা হয়। সেই গ্রামকে বসবাসের উপযোগী রাখতে নিয়মিত গাছ লাগাতে হবে। গাছ ছাড়া পাখি বাঁচবে না। পেঁচা পাখি ইঁদুর ধরে। একটি পেঁচা ইঁদুর ধরে সারা জীবনে কৃষকের ২১ লাখ টাকার ফসল বাঁচায়। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গাছের বিকল্প নেই। কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির ২৭হাজার সদস্য পরিবেশ রক্ষার একেকজন সৈনিক বলে আমি মনে করি।
কুমিল্লা গার্ডেনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. আবু নাঈম জানান, সবার গাছগাছালির প্রতি ভালোবাসা জাগাতেই সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়। আমরা পুরো জেলাকেই সবুজে সাজাতে চান।
সবুজ বিস্তারে বিশেষ অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেয়া হয় ফারজানা আফরোজ,অ্যাডভোকেট নিগার সুলতানা, আবদুল মান্নান ও মাহমুদা সুমিকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার, ডা নারগিস আক্তার, ডা. দিলরুবা আক্তার, ডা. শামিমা আক্তার রেখা ও অধ্যাপক নাসিমা পারভিন প্রমুখ।