যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে এসি চুরির মামলা
এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক করেছেন চুরির অভিযোগে মামলা। রোববার (২৭ জুন) সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরীফ মাহমুদ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করলে আদালত তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবাদী আলী আজম (৪২) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সিন্দুরউড়া গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ূন মিয়ার পুত্র। তিনি জেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা যুবলীগের নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। অপরদিকে মামলার বাদী শরীফ মাহমুদ একই ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার বাজারে ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যালয় অবস্থিত। গত বছরের ১১ অক্টোবর সন্ধ্যে সাতটার সময় ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরীফ মাহমুদ দৈনন্দিন কার্যাবলী সম্পন্ন করে কার্যালয় তালাবদ্ধ করে বাড়ি চলে যান। পরদিন বিকেল পাঁচটার দিকে কার্যালয় খোলার সময় শার্টারে তালা পাননি। শাটার খুলে তিনি কার্যালয়ে থাকা ২৮ হাজার টাকা মূল্যের ৪২ ইঞ্চির স্যামস্যাং ব্র্যাণ্ডের একটি এলইডি টেলিভিশন, ২৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি পানি বিশুদ্ধকরণ ফিল্টার, ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি দেড় টন শীতাতপনিয়ন্ত্রক (এসি) চুরি হয়ে গেছে দেখতে পান। পাশাপাশি দপ্তরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও দলিলাদি খোয়া গেছে দেখতে পান। এই ঘটনায় প্রায় এক বছরের মাথায় শরীফ মাহমুদ বাদী হয়ে আলী আজমের বিরুদ্ধ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আলী আজম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব পণ্য আমার টাকায় কেনা। বিভিন্ন কারণে অফিসটি ছেড়ে দেয়ার পর শরীফ নিজেই এসব আমার বাড়িতে দিয়ে আসে। সে অফিসটি চালানোর দায়িত্বে থাকায় প্রতিমাসে তিন হাজার টাকাও নিতো। এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আমি হতবাক।’